কয়েক সপ্তাহ সাগরে ভেসে বেড়ানোর পর সোমবার ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশের একটি সৈকতে রোহিঙ্গাদের আরেকটি দল অবতরণ করেছে। বিষয়টি সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান ফৌজি বলেন, ‘আচেহের পিডি জেলার উপকূলীয় গ্রাম মুয়ারা টিগায় উজং পাই সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যার সময় কমপক্ষে ১৮৫ জন নারী, পুরুষ ও শিশু একটি কাঠের নৌকা থেকে স্থলে নামে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সমুদ্রে কয়েক সপ্তাহ থাকার কারণে পানিশূন্যতা ও ক্লান্তিতে তারা খুব দুর্বল ছিল।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত একটি ভিডিও দেখা যায় যে ১৮৫ জন পানিশূন্যতা ও ক্লান্তিতে কাতর রোহিঙ্গার অনেকেই সাহায্যের জন্য কাঁদছেন।
৮৩ জন পুরুষ, ৭০ জন নারী ও ৩২ জন শিশুকে সোমবার মধ্যরাতের আগে একটি গ্রামের হল থেকে সামরিক ট্রাকযোগে একটি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়।
এর আগে রোববার দেশটির উত্তরাঞ্চলের আচেহ প্রদেশেই ৫৮ জন ক্ষুধার্ত ও দুর্বল রোহিঙ্গাকে পাওয়া গেছে।
দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান রোলি ইউইজা অ্যাওয়ে বলেন, ৫৮ জনের দল রোববার ভোরে আচেহ বেসার জেলার মাছ ধরার গ্রাম লাদং-এর ইন্দ্রপাত্র সৈকতে পৌঁছায়। গ্রামবাসীরা জাতিগত রোহিঙ্গাদের দলটিকে একটি কাঠের নৌকায় দেখে তাদের অবতরণ করতে সাহায্য করে এবং তারপর কর্তৃপক্ষকে তাদের আগমনের কথা জানায়।
ইউইজা অ্যাওয়ে আরো বলেন, ‘তাদের ক্ষুধা ও পানিশূন্যতার কারণে খুব দুর্বল দেখায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘ ও তীব্র সমুদ্রযাত্রার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আচেহতে অভিবাসন ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করার সময় রোহিঙ্গাদের গ্রামবাসী ও অন্যরা খাবার ও পানি দেয়।’
তিনি আরো বলেন, তাদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজনকে চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং অন্যরা বিভিন্ন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply