বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এর সূচনায় বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ নৃশংস সকল হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কানাডা প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা দেলোয়ার জাহিদ। কানাডায় বাংলাদেশ হেরিটেজ এবং এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা’র বিজয়ের ৫১তে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। এ ভার্চুয়াল আলোচনাটি ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আনামুর রহমান। বক্তব্য রাখেন বিদায়ী সভাপতি আহসান উল্লাহ, সাদেক হুদা ও সভার সভাপতি। অংশ গ্রহণ করেন সাইফুর হাসান, অনিকা শ্রোতিপ্রভা।
দেলোয়ার জাহিদ বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা একাত্তরে যেমন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে শত শত বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তেমনি হত্যা করেছে জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে, নারী, শিশু ও যুবককে। সংগঠিত করেছে গুরুতর, সহিংস সকল মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও জাতিগত নির্মূলতা এবং গণহত্যা। সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছেন। ভবিষ্যৎ প্রজেন্মর কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুলে ধরতে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়িত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্মানিত অতিথি আরও বলেন, বিনম্র শ্রদ্ধায় আমাদের স্মরণ করতে হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে , জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে যাঁরা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্মরণ করতে হবে ৩০ লক্ষ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোন ও তাদের পরিবার পরিজনদের। স্মরণ করতে হবে মহিয়সী নারী ইন্দিরা গান্ধীকে যিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিলেন, বিশ্ব বিবেককে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জাগিয়ে তুলেছিলেন। এছাড়া স্মরণ করতে হবে ভারতের জনগণ ও বীর সৈনিকদের। আলোচক আহসান উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটি কানাডায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষশক্তিকে উজ্জীবিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। সাদেক হুদা বলেন, প্রবাসে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতাবিরোধীদের আমরা চিনি, আমাদের চারপাশে ওরা রয়েছে সমাজে তাদের অপপ্রচার এবং কর্মকাণ্ডকে অবশ্যই আমাদের রুখে দিতে হবে। সভার সভাপতি বলেন, প্রবাসে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যমে আমাদের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় একশ্রেণীর বর্ণচোরা মানুষ তাদের সাংগঠনিকভাবে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ গণহত্যাকে বিশ্বসম্প্রদায়ের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হতে হবে।
Leave a Reply