এশিয়ার কাপ ১৫তম আসরের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটি এবার সংক্ষিপ্ত ভার্সনে আয়োজন করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এবারের আসরের ১২টি ম্যাচে সমানতালে পারফরম করেছেন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। আসরের ১৩তম ম্যাচ ফাইনালে, যারা আলো ছড়াতে পারেন যারা।
মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান) : পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে অন্যতম ভরসার নাম মোহাম্মদ রিজওয়ান। ওপেনার হিসেবে এবারের আসরে দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্মে আছেন তিনি। এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচের ৫ ইনিংসে ২টি হাফ-সেঞ্চুরিসহ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২৬ রান করেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার । এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৭৬ রান করেছেন ভারতের বিরাট কোহলি। তাই কোহলিকে ছাড়িয়ে যেতে ফাইনালে ৫১ রান করতে হবে রিজওয়ানকে। দুর্দান্ত ফর্মের কারনে নিজ দলের অধিনায়ক বাবর আজমকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ স্থান দখলে নিয়েছেন রিজওয়ান।
সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। তার অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে ভারতকে ৫ উইকেটে গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ নিয়েছিলো পাকিস্তান। তবে গ্রুপ পর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৮ রান এই আসরে রিজওয়ানের সর্বোচ্চ। ফাইনালে জ¦লে উঠতে পারেন ফর্মে থাকা রিজওয়ান।
বাবর আজম (পাকিস্তান) : এবারের এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ৫ ইনিংসে মাত্র ৬৩ রান করেছেন তিনি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিলেন বাবর। বাজে পারফরমেন্সের কারনে রিজওয়ানের কাছে শীর্ষস্থান হারান বাবর। তবে ফাইনালের মঞ্চে বাবরের জ্বলে উঠার অপেক্ষা থাকবে পাকিস্তান। সাধারণত বড় মঞ্চেই জ্বলে উঠেন তারকারা। সেক্ষেত্রে জ্বলে উঠতে পারেন বাবরও।
মোহাম্মদ নাওয়াজ (পাকিস্তান) : বল হাতে এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি স্পিনার নাওয়াজ। ৫ ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতেও দলের প্রয়োজনে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে নাওয়াজের। সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে ২০ বলে ৪২ রান করে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে আনেন নাওয়াজ।
হাসারাঙ্গা ডি সিলভা (শ্রীলঙ্কা) : শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার হিসেবেই এবারের এশিয়া কাপ শুরু করেছিলেন হাসারাঙ্গা। কিন্তু এখন পর্যন্ত খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি তিনি। প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা। তবে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পুরনো হাসারাঙ্গাকে দেখা যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের জয়ের পেছনে অবদান রাখেন তিনি। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা। তাই ফাইনালেও হাসারাঙ্গার জ্বলে উঠার অপেক্ষায় থাকবে শ্রীলঙ্কা।
পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা) ; শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের দুই অন্যতম ভরসার নাম পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দলকে দারুন সূচনা এনে দিচ্ছেন এই দুই ওপেনার। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪৫, সুপার ফোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬২, ভারতের বিপক্ষে ৯৭ রানের সূচনা এনে দেন নিশাঙ্কা ও কুশল জুটি। তাই ফাইনালের মঞ্চে নিশাঙ্কা ও কুশলের আরো একটি দুর্দান্ত শুরুর উপর নির্ভর করবে শ্রীলঙ্কার শিরোপা। এই আসরে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তারা। নিশাঙ্কা ১৬৫ ও কুশল ১৫৫ রান করেছেন। দু’জনই দু’টি করে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন।
সূত্র : বাসস
Leave a Reply