পিরোজপুরে একজন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধাকে তার নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সিতারা হালিম পিরোজপুর সদরের সিআই পাড়ার দোতলা বাড়ির নিজ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন।
বাড়িতে স্থায়ী কোনো কাজের লোক বা সাহায্যকারী ছিলেন না।
দোতলা বাড়িটির নিচতলায় দুইটি পরিবার ভাড়া থাকেন।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থানদার খায়রুল আহসান বিবিসিকে বলেছেন, দোতলায় রঙয়ের কাজ করার জন্য সকালে একজন রংমিস্ত্রি আসেন। তিনি কয়েকবার কলিং বেল বাজালেও ভেতর থেকে কেউ সাড়া দেননি। এরপর কয়েকবার দরজা ধাক্কানোর পরও কেউ দরজা খোলেনি। এরপর তিনি নিচতলার ভাড়াটিয়াদের ডেকে আনেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটির পেছন দিকে একটি ছোট সিঁড়ি আছে, যেটি দিয়ে দোতলার রান্নাঘরে ঢোকার একটি ছোট দরজায় পৌঁছানো যায়।
রংমিস্ত্রি এবং ভাড়াটিয়ারা ওই সিঁড়ি গিয়ে উঠে সেই ছোট দরজাটি খোলা দেখতে পান।
সরু দরজাটি পেরিয়ে বাসায় ঢুকে সিতারা হালিমকে তার শোবার ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
এরপরই পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা থানদার খায়রুল আহসান বলেছেন, লাশের গলায় কালো দাগ দেখে তারা অনুমান করছেন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
সিতারা হালিমের শরীরের অবস্থা দেখে পুলিশের অনুমান হত্যাকাণ্ডটি ভোররাতের দিকে ঘটেছে।
সিতারা হালিমের মেয়ে সহযোগী অধ্যাপক সালমা আরজু সকালে খবর পেয়ে বাগেরহাট থেকে পিরোজপুর এসে পৌঁছেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, তার মায়ের সাথে দুর্বৃত্তদের ধস্তাধস্তি হয়েছিল বলে ধারণা করছেন তারা, তার মায়ের দুই হাতেই কালো দাগ দেখতে পেয়েছেন তারা।
এছাড়া বাড়ির সব আলমারি ও ট্রাঙ্কের তালা ভাঙা পাওয়া গেছে। কিন্তু কী কী জিনিসপত্র খোয়া গেছে, সেটি তারা এখনো হিসাব করে উঠতে পারেননি।
তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা ভাইবোনেরা সবাই প্রতিষ্ঠিত, একেকজন একেক জায়গায় থাকি। সেকারণে তারা খবর নিয়েই আসছে যে আম্মা একা থাকে। এবং তারা এমনভাবে কাজ করেছে যে ভাড়াটিয়ারাও কিছু টের পায়নি।’
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তবে, কী কারণে এবং কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র : বিবিসি
Leave a Reply