সেল্তা ভিগোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপে জায়গা করে নেওয়ার পথে এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। লিগে ৩৬ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বর অবস্থান শক্ত করল জাভির শিষ্যরা। ৩৫ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা রিয়াল মাদ্রিদ।
সেভিয়া (৬৫) ও আতলেতিকো মাদ্রিদের (৬৪) সঙ্গে বাড়িয়ে নিল বার্সা। এই দুই দল একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে।
মঙ্গলবার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। তবে গোলের নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউই।
ম্যাচের ৩০দম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সা। উসমান দেম্বেলের অবদানে গোল করেন মেমফিস দিপাই। মাঝমাঠে বল পেয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসা দুই জনকে পায়ের কারিকুরিতে পেছনে ফেলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যান ডি বক্সে। নিজে শট না নিয়ে চমৎকার কাট ব্যাকে খুঁজে নেন অরক্ষিত মেমফিসকে। তার শটে ঝাঁপিয়ে গ্লাভস ছোয়ালেও জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি সেল্তা গোলরক্ষক।
৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। ডি বক্স থেকে মেমফিসের ক্রসে ততটা জোর ছিল না। তবে আগেই মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ঠিক মতো শট নিতে পারেননি সেল্তার মেক্সিকান ডিফেন্ডার নেস্তর আরাউহো। তার কাছাকাছিই থাকা অবামেয়াংয়েও খুব একটা জোরে শট নিতে পারেননি, তবে সেটা কাছের পোস্ট দিয়ে জালে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।
বিরতির পর শুরুতেই স্কোর লাইন ৩-০ করে ফেলে বার্সেলোনা। ৪৮তম মিনিটের এই গোলেও দারুণ অবদান দেম্বেলের। ডানদিক থেকে বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে খুঁজে নেন অরক্ষিত অবামেয়াংকে। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বাকিটা সারেন গ্যাবনের এই ফরোয়ার্ড।
দুই মিনিট পরেই অবশ্য বার্সা ডিফেন্ডারদের ভুলে ব্যবধান কমান সেল্তার আসপাস। সফরকারীরা আক্রমণে ওঠার সময় বিস্ময়করভাবে তাকে পাহারায় রাখেনি স্বাগিতকদের কেউই। গোল মুখে গালহার্দোর পাস পেয়ে অনায়াসে বাকিটা সারেন আসপাস। খুব বেশি কিছু করার ছিল না টের স্টেগেনের।
এদিকে ৫৮তম মিনিটে সেল্তা ১০ জনের দলে পরিণত হয় সফরকারীরা। স্বাগতিকদের প্রতি আক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় নিজেদের ডি বক্সের ঠিক সামনে মেমফিসকে ফাউল করে ঠেকিয়ে সরাসরি লালকার্ড দেখেন মুরিয়ো। একই সঙ্গে বলে হেড করার চেষ্টায় মাথায় আঘাত পান গাভি ও রোনালদ আরাহো। শুরুতে মনে হয়নি তেমন কিছু হয়েছে উরুগুয়ের ডিফেন্ডারের। তবে একটু পরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত এগিয়ে যান বার্সেলোনার চিকিৎসকরা। অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রথমে মাঠের বাইরে, পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আরাহোকে।
চার দলের স্প্যানিশ সুপার কাপে খেলতে লিগে রানার্সআপ হতেই হবে বার্সেলোনাকে। এই জয়ে সেই পথে বেশ এগিয়ে গেল তারা।
Leave a Reply