জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলের এক কিশোরী ফুটলারকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ফকির ফয়সালের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নথিবদ্ধ করেছে। মামলায় গতকাল বুধবার দুপুরে গাজীপুরের গাছা থানার ছয়দানা এলাকার একটি বাসা থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নান্দাইলের শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজে অধ্যয়নরত ওই কিশোরী ফুটবলার দাবি করেন, সম্প্রতি ফয়সালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। কিশোরী কলেজে যাওয়া-আসার সময় ফয়সাল তার খোঁজখবর নিতেন। গত শুক্রবার উপবৃত্তির ফাইলে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা বলে ফয়সাল তাকে কলেজে ডেকে নেন। কলেজে গেলে ফয়সাল তার গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও করে রাখেন। এতে সহযোগিতা করেন তার সহযোগী আলামিন ও অজ্ঞাত আরও একজন। ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণনাশেরও হুমকি দেন ফয়সাল। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে
আমার পরিবার। ঘটনার সময় কলেজের পিয়ন রহিমকেও ছুরি দেখিয়ে ফয়সাল ভয় দেখিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে সবাইকে বলার পর কিশোরী পুলিশে অভিযোগ দিতে যান।
মেয়েটি জানায়, নান্দাইল থানার ওসিকে সবকিছু খুলে বলার পরও তারা ধর্ষণের বদলে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নিয়েছে। এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, কিশোরীর বক্তব্য শুনেই ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়া হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে ফয়সাল ও অজ্ঞাত দুজনকে। ফয়সালকে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছে।
জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, নিয়ম হচ্ছে ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা নেওয়া। যদি পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকে তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর বিডি নিউজের।
Leave a Reply