রমজানের শেষ দশকের গুরুত্বপূর্ণ আমল ইতিকাফ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমৃত্যু রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। ইতিকাফ হলো জাগতিক সব ব্যস্ততা পেছনে ফেলে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদে অবস্থান করা। শরিয়ত ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়া এবং তার কল্যাণ লাভের জন্য কিছু করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করে দিয়েছে।
ইতিকাফে যা করণীয়
নিম্নোক্ত কাজগুলো ইতিকাফের সময় করা উত্তম—
১. সম্ভব হলে মসজিদুল হারাম ও মসজিদ-ই-নববীতে ইতিকাফ করা।
২. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা।
৩. হাদিসে নববী ও নবীজি (সা.)-এর জীবনী পাঠ করা।
৪. প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট হওয়া।
৫. আলেম হলে সাধারণ ইতিকাফকারীদের দ্বিনি শিক্ষায় সহযোগিতা করা।
৬. তাহাজ্জুদসহ অন্যান্য নফল নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া।
৭. আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা।
ইতিকাফে যা বর্জনীয়
ইতিকাফকারী ব্যক্তি নিম্নোক্ত কাজগুলো
পরিহার করে চলবে। তা হলো—
১. জাগতিক ব্যস্ততা ও অপ্রয়োজনীয় কথা-কাজ পরিহার করা।
২. বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া। কেননা এতে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যায়। তবে প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ ও জুমার নামাজে অংশগ্রহণের মতো প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ আছে।
৩. স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস বা সহবাসের দিকে আকৃষ্টকারী কাজ করলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যায়। তবে স্বপ্নদোষ হলে ইতিকাফ নষ্ট হয় না।
৪. ইতিকাফের স্থানকে ব্যবসাস্থল বানানো মাকরুহ।
৫. নারীদের ক্ষেত্রে হায়েজ ও নিফাসের কারণে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যায়।
৬. চুপ থাকাকে ইবাদত মনে করে চুপ থাকা।
৭. মসজিদের শিষ্টাচারপরিপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া।
Leave a Reply