1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন

রোজায় পানিশূন্যতা দূর করবেন যেভাবে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২

তাপমাত্রা বাড়ছেই। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই প্রচণ্ড গরমে রোজা রাখার কারণে স্বাভাবিকভাবেই পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোজায় সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে এই সম্ভাবনা আরও বেশি হয়ে থাকে। শরীরে পানির ঘাটতি দূর না হলে সহজেই নিস্তেজ হয়ে পড়বেন। এ কারণে এ সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখা আরও বেশি জরুরি।

এবার রোজার সময়টায় গরম পড়বে বেশি। সে কারণে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে অবশ্যই পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে এবং ফিট থাকার জন্য দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। এজন্য ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যেসব খাবারে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। অনেকেই ইফতারের পর আর খেতে চান না। রাতের খাবার খেতে হবে পরিমিত মাত্রায় এবং সেহরিও খেতে হবে। তাহলে পানির ঘাটতি কম হবে।

রোজার সময় যারা রোজা পালন করেন তাদের দিনের বেলায় পানাহারের সুযোগ নেই বলে দীর্ঘ সময় পানি পান করতে পারেন না। অন্যদিকে ঘাম, প্রস্রাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

পানিশূন্যতা কেন হয়?

•দীর্ঘ সময় ধরে পানি না পান করার কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে
•খাবার তালিকায় পানিসমৃদ্ধ খাবার না রাখা
•জ্বর বা ডায়রিয়ার মতো অসুস্থতাজনিত কারণে
•অতিরিক্ত ভাজা পোড়া জাতীয় খাবারের কারণেও পানিশূন্যতা হতে পারে
•ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান না করা
•ইফতারের পর অতিমাত্রায় চা কফি খেলে
•অতিরিক্ত রোদ বা গরমে থাকার কারণে

পানিশূন্যতার লক্ষণ

শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে জিহ্বা দেখে সহজে বোঝা যায় কারণ জিহ্বা শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া অনেকের চোখ গর্তে চলে যায় এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। তা ছাড়া শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তেরি হয়।

পানিশূন্যতা থেকে কীভাবে মুক্ত থাকবেন

পানিশূন্যতা থেকে মুক্ত থাকার জন্য করণীয় সম্পর্কে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। তা হলো-

•ইফতার ও সেহরির মধ্যকার সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করা
•সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া
•ইফতারে ফলের রস ও ফলের পরিমাণ বেশি রাখা
•সরাসরি রোদে না যাওয়া
•অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া
•প্রয়োজনে ডাবের পানি বা খাবার স্যালাইন পান করা
•হালকা শরীর চর্চা করা

অনেকেই পানি পান করতে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা পানি খেয়ে থাকেন যা মোটেও ঠিক নয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের চা পানের অভ্যাস আছে তারা দুধ চায়ের বদলে রং চা পান করতে পারে পরিমিত মাত্রায়। আর পর্যাপ্ত পানির পাশাপাশি খাবারে লাউ, কুমড়ো বা পেঁপে জাতীয় খাবার বেশি রাখলে শরীর পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com