সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল নিয়ে একের পর এক নাটকীয়তা চলছেই। সব প্রস্তুতি সম্পন্নের পর ২৪ ঘণ্টা আগে হঠাৎ করে স্থগিত করা হয়েছে কাউন্সিল। গতকাল দুপুরে কেন্দ্র থেকে ফোনে সংশ্লিষ্টদের কাউন্সিল স্থগিতের বিষয়টি জানান হয়। আজ দুপুরে সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগে কেন্দ্র থেকে কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা ও ভোটার নিয়ে বার বার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। শেষ সময়ে অকস্মাৎ সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিত করায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এরপর আর কবে জেলার কাউন্সিলর হবে- তা নিয়ে শঙ্কিত নেতা-কর্মীরা। সম্মেলন সফল করতে কয়েকদিন থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়া ১৩ নেতাও প্রায় এক মাস ধরে জেলাজুড়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। গতকাল দুপুরের আগেই সম্মেলনস্থল মাদ্রাসা মাঠে প্যান্ডেল ও স্টেজের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলা হয়। এর মধ্যেই খবর আসে সম্মেলন স্থগিতের। দলীয় সূত্র জানায়, আহ্বায়ক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে পারেনি। এক সপ্তাহ আগে তালিকা প্রস্তুত করে প্রকাশের নিয়ম থাকলেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হয় গতকাল ভোরে। তালিকা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন মাধ্যমে এসব অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্র থেকে সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিত করা হয়।
তবে দলের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে প্রার্থী হওয়া একাধিক প্রার্থী কাউন্সিলে পাস করতে না পারার শঙ্কায় কেন্দ্রকে বুঝিয়ে সম্মেলন স্থগিত করিয়েছেন। শুরুতে তারা কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন চাইলেও এখন তারা কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটি প্রত্যাশা করছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, ‘যথাসময়ে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। সম্মেলনের অন্তত এক সপ্তাহ আগে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি হওয়া উচিত। কিন্তু গতকাল ভোরে তালিকা হাতে এসেছে। এছাড়া কয়েকটি ইউনিটের ভোটার নিয়েও অভিযোগ ওঠেছে। এসব কারণে সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।’
Leave a Reply