বড় মামী রানী বেগমের সঙ্গে ছোট মামা আশিকুজ্জামানের পরকীয়া দেখে ফেলায় কাল হলো সাত বছরের শিশু আলিফ ফারহাদের। শিশুটিকে চোখে ও মুখে খুঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় তারা। মুমূর্ষু অবস্থায় আলিফ ফরহাদ এখন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভাবি ও দেবরকে আটক করেছে পুলিশ।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার রানী বেগমকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির পর দেবর আশিকুজ্জামানকেও আটক করা হয়েছে। এরা দুজনই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিজেদের সম্পৃক্তা জানিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।
ওসি জানান, দেবহাটা উপজেলার চরবালিথা গ্রামের মঈনুদ্দীন সরদারের ছেলে আলিফ ফারহাদ একই গ্রামে মামার বাড়িতে থাকতো। আলিফের বড় মামা আশরাফুল ইসলাম চাকরির সুবাধে ঢাকায় থাকার সুযোগে দেবর আশিকুজ্জামানের সঙ্গে রানী বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয়। গতকাল সোমবার তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় শিশু আলিফ ফারহাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
ওসি আরও জানান, রানী বেগম ও তার দেবর দুজন মিলে শিশুটির চোখে ও মুখে খুঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে শিশুটিকে মৃত ভেবে নদীর পাড়ে একটি গর্তে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার খুলনা থেকে শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য।
Leave a Reply