জুয়া ও মাদক আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু এরপরও বাজি ধরে স্মার্ট ফোনে লুডু ও ক্যারাম খেলায় জুয়ার প্রচলন বাড়ছে। এ অবস্থায় জুয়া খেলা ঠেকাতে নোটিশ জারী করেছেন বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিম। জুয়া খেলারত অবস্থায় কাউকে পেলে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে নোটিশে।
গত শনিবার (১১ মার্চ) রাতে চরমোনাই পীর সাহেবের ছোট ভাই এবং চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিমের পক্ষে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এ সংক্রান্ত নোটিশ সাটিয়ে দেয়া হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, এই ইউনিয়নের কোনও দোকান বা স্থানে বসে স্মার্ট ফোন বা লুডুর কোর্টে লুডু, ক্যারাম বোর্ড বা তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলা কিংবা মাদক সেবনরত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে দোকানে খেলা অবস্থায় পাওয়া যাবে সেই দোকানও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়ার সতর্কবার্তা দেয়া হয় নোটিশে।
চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিম জানান, যুব সমাজকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্মার্ট ফোনে লুডু খেলে যুবকরা বিপথগামী হচ্ছে। তারা প্রথমে শখের বসে খেলে পরে জুয়ায় আসক্ত হয়ে যায়। অভিভাবকদের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
এদিকে, এ বিষয়ে বরিশাল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার আইনে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুস্পস্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এভাবে নোটিশ জারি করার এখতিয়ার তাকে আইনে দেয়া হয়নি। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে তাকে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) আলী আশরাফ ভূঁঞা বলেন, তিনি নোটিশটি এখনও দেখেননি। নোটিশ দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
Leave a Reply