ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার শামিমা ও ফারজানা। কিন্তু এই জুটির মতো আর জুটি হয়নি। পরের ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে। ফলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করতে নেমে স্কোরটা বাংলাদেশের হলো সাদামাটা। ২৭ ওভারে ১৪০ রানে অল আউট রুমানারা। এই লক্ষ্য হেসেখেলে স্পর্শ করেছে নিউজিল্যান্ড, ২০ ওভারেই।
সোমবার মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল তারা। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আশা জাগিয়েও হারে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও হারলো রুমানা-নিগাররা।
সহজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার অধিনায়ক সোফি ডিভাইন ও সুজি বেটস। দলীয় ৩৬ রানে এই জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের সালমা খাতুন। বোল্ড করে দেন কিউই অধিনায়ক ডিভাইনকে। ১৬ বলে ১৪ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর অবশ্য নিউজিল্যান্ডকে আর ভাবতে দেয়নি দ্বিতীয় উইকেট জুটি। সুজি বেটসের ফিফটি ও আমেলিয়া কেরের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। সুজি বেটস ৬৯ বলে নয়টি চারে অপরাজিত থাকেন ৮৩ রানে। ৩৬ বলে চারটি চারে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন আমেলিয়া কের।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে শামিমা ও ফারজানা তোলে ৫৯ রান। এই জুটি ভাঙেন ম্যাককে। ৩৬ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন শামিমা। তিনি হাকান চারটি চার।
এই জুটি ভাঙার পর আর কোনো বড় জুটি হয়নি। ফলে স্কোরটাও বড় হয়নি। এক প্রান্ত আগলে রেখে একমাত্র ফিফটিটা করেন ফারজানা হক। তিনি বিদায় নেন দলীয় ১১৯ রানের মাথায়।
এর আগে একে একে দলকে হতাশ করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১৩ বলে ১১ রান), রুমানা (১), সুবহা মুস্তারি (২১ বলে ১৩ রান), রিতু মনি (৪)। টপ অর্ডারের বেহাল দশা আটকাতে পারেনি লোয়ার অর্ডার।
সালমা খাতুন, লতা মণ্ডল, জাহানারা আলম, নাহিদা আক্তার কেউই স্পর্শ করতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান আসে ফারজানা হকের কাছ থেকে। ৬৩ বলে তিনি করেন ৫২ রান। তার ইনিংসে ছিল মাত্র একটি চারের মার। সিঙ্গেলস আর ডাবলসের উপরই ছিলেন তিনি। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। ফলে তিনি হন রান আউট। বাংলাদেশের ইনিংসে রান আউট সর্বমোট তিনটি।
২৭ ওভারে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪০ রানে। অবশ্য বাংলাদেশের দুটি উইকেট ছিল। ব্যাট করতে নামেননি ফারিহা ও তৃষ্ণা। বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সাটারওয়েট তিনটি, ম্যাককে ও জেনসেন নেন একটি করে উইকেট।
Leave a Reply