দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুর জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ও অধিদপ্তরের করোনার টিকাবিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হকসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঢাকা সিভিল সার্জন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, কওমি মাদ্রাসার প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী এবং ভাসমান মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফাইজার এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ভাসমান মানুষকে দেওয়া হবে মডার্নার কভিড টিকা দেওয়া হবে।
অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ শাখার পরিচালক এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা পাবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে আমাদের তালিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রও তারা ঠিক করে দিয়েছেন। তারা যে তালিকা দেবে সেই তালিকা অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’
উল্লেখ্য, দুই মাস আগে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে সরকার। তখন একই বয়সী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। সরকারি হিসাবে, দেশে কওমি মাদ্রাসা আছে ১৯ হাজার ১৯৯টি। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। আর তৃতীয় ডোজ অর্থাৎ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৮ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি মানুষকে।
এর বাইরে এক কোটি ৪১ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২৫ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
Leave a Reply