মোহাম্মদ সালাহ, ফুটবল বিশ্বের উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। মিশরকে বিশ্ব মহলে পরিচিত করতে লিভারপুল তারকা একাই যথেষ্ট। তবে দলীয় খেলা ফুটবলে একক নৈপুণ্য যে যথেষ্ট নয় তা জানেন খোদ সালাহও। ফিফার বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা এই খেলোয়াড়কে নিয়েও জয় পেলো না মিশর। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে নাইজেরিয়ার কাছে পরাজিত হয় ফারাওরা। মঙ্গলবার রাতে গ্রুপপর্বের ম্যাচটিতে ১-০ গোলে জয় পায় সুপার ঈগলসরা।
প্রথমার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লেস্টার সিটির নাইজেরিয়ান তারকা কেলেচি ইহেনাচো। বল দখলে খানিক পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে মিশরের উপর আধিপত্য বিস্তার করে নাইজেরিয়া। ৪৩ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৫টি শট নেয় তারা।
যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৫টি। অপরদিকে ৫৭ শতাংশ বল দখলে রাখা মিশর ৪টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই আক্রমণে যায় নাইজেরিয়া। তবে তাইওয়ো মাইকেল আইওনিয়ি ডি-বক্সে বল পেয়েও সফল হননি, বাধা পড়েন মিশরীয় ডিফেন্সে। দুই মিনিটের ব্যবধানে আক্রমণে যায় মিশর। তবে ডান প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন ইজিপশিয়ান স্ট্রাইকার মোস্তফা মোহামেদ।
১৩তম মিনিটে নাইজেরিয়ার ডিফেন্সের একটু সামনে বল পেয়ে লম্বা পাস বাড়ান মোহাম্মদ সালাহ। তবে দৌড়ে গিয়ে বলের নাগাল পাননি অ্যাস্টন ভিলার মিশরীয় মিডফিল্ডার মাহমুদ আহমেদ ইব্রাহিম হাসান।
৩০তম মিনিটে এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। আরিবোর পাসে দুর্দান্ত এক হাফ-ভলি থেকে জাল খুঁজে নেন লেস্টার সিটি স্ট্রাইকার কেলেচি।
দুই মিনিটের ব্যবধানে পাল্টা আক্রমণ থেকে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল মিশর। তবে সতীর্থের পাস পেয়ে নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডারের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে ব্যর্থ হন সালাহ।
বিরতির পর আরো দুর্দান্ত দুটি গোলের সুযোগ তৈরি করে নাইজেরিয়া। তাইওয়ো আইওনিয়ির হেড থেকে গোলপোস্ট রক্ষা করেন মিশরের গোলরক্ষক মোহম্মদ এল শেনাওয়ি। এরপর চিদারা ইজুকেও হতাশ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানেই নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ।
এই হারে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে মিশর। এক ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নাইজেরিয়া।
Leave a Reply