দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নেওয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো কাজাখস্তানে আগ্রাসন চালাচ্ছে-এমনটাই দাবি করেছে কাজাখ সরকার। তবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এই দাবির স্বপক্ষে জোরালো কোন প্রমাণ দেওয়া হয়নি। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তান গত ১ জানুয়ারি শনিবার এলপিজির দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। এরপর দিন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ মানজিস্তাউয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ আলমাটিসহ দেশটির অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি এবং কারফিউ ও সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ বলেছেন, ‘২০ হাজার দস্যু’ দেশটির প্রধান শহর আলমাটিতে হামলা চালিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর এই শহরটিই প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
কাসিম-জোমার্ট এই হামলার জন্য বিদেশী প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন। তবে তিনি এ ক্ষেত্রে কোন প্রমাণ দেননি। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত ২৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ জন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হয়েছে।
এদিকে, দেশটির চলমান বিক্ষোভ দমনে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন বাহিনী সেখানে পৌঁছেছে। কাজাখ প্রেসিডেন্টের অনুরোধে এই বাহিনী বিক্ষোভ দমনে সহায়তা করবে।
Leave a Reply