বর্তমানে ব্যস্ত লাইফস্টাইলে অজান্তেই দেহে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন মারণরোগ। অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা অনভ্যাসের ফলে দিন দিন বেড়ে চলেছে রোগের প্রকোপ। তেমনই কমবয়সীদের মধ্যে সম্প্রতি দেখা দিচ্ছে ব্রেন স্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যা, বাড়ছে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি। তবে সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই এই স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব।
ব্রেনের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে ব্রেন স্ট্রোক ঘটে। ব্রেনের টিস্যুতে সঠিকভাবে অক্সিজেন ও পুষ্টি না পৌঁছনোর ফলেও এটি হয়। রোজকার ব্যস্ত জীবনে মূলত তিনটি বিষয় মাথায় রাখলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পর্যাপ্ত ঘুম
ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সবার আগে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। শুধু তাই নয়, রাতে সময় মেনে ঘুমোনো ও নিয়মিত সকালে ওঠা অভ্যাস করা একান্ত প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্কদের কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এর ফলে শরীরে নানা উপকার হয়। কর্মব্যস্ত জীবনে আজকাল অনেকেই সময়ে ঘুমাতে পারেন না। রোজ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেই ব্রেন স্ট্রোক অনিবার্য।
ধূমপান ত্যাগ
কম ঘুমের পাশাপাশি সিগারেট ও অন্যান্য তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ধূমপান ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ করে দেয়। একই সঙ্গে অ্যালকোহলের সেবনের ফলেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। শুধু তাই নয়, রোজ দুবারের বেশি অ্যালকোহল সেবন করলে রক্তচাপ বাড়তে থাকে। যার ফলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকিও মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।
শরীরচর্চা
ব্রেন স্ট্রোকের আরও একটি অন্যতম কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। তরুণদের ক্ষেত্রে এই উদাসীনতা ভীষণভাবে লক্ষণীয়। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। শুধু তাই নয়, এর ফলে ব্রেনে রক্তের সঞ্চালনও সঠিকভাবে ঘটে। শরীরচর্চার অভাবে দেহের ওজন বাড়ে। যার ফলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে চলে।
ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে কি না, বুঝবেন যেভাবে
ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো- কথা বুঝতে না পারা, কথা বলতে অসুবিধা হওয়া, শরীরে ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব, মনসংযোগ হারিয়ে ফেলা, ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, হাতে পায়ে অসাড় অবস্থা অনুভব করতে পারেন। এই লক্ষণগুলো দেখলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক।
Leave a Reply