বিদায় নেওয়ার অপেক্ষায় ২০২১। করোনা মহামারি, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক ও মানুষ সৃষ্ট দুর্যোগের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে বছরটি। আগামী বছর পৃথিবী সুস্থ ও সুন্দর হয়ে উঠুক পুরো বিশ্ববাসীর এটিই প্রত্যাশা। কেমন যাবে ২০২২? এই নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন নস্ট্রাডামাস। বুলগেরিয়ায় জন্ম নেওয়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এ নারী ছিলেন একজন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।
তার মতে, আগামী বছর বিশ্ব ভয়াবহ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাবে। এ সময় বিশ্বে নতুন ভাইরাসের আক্রমণ, মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশ্বজুড়ে তীব্র পানি সংকট, ভারতে পঙ্গপালের আক্রমণে খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে দুর্ভিক্ষ ও ভিনগ্রহের প্রাণী পৃথিবীতে হানা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নস্ট্রাডামাসের মতে, ২০২২ সালে সুনামি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আঘাত হানতে পারে একের পর এক প্রাকৃতিক সব দুর্যোগ। এ বছরেই সাইবেরিয়ায় জন্ম নিতে পারে আরও একটি ভাইরাস। যা করোনার চেয়ে আরও বেশি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার কারণেই এ ভাইরাসটির জন্ম হবে বলে মনে করেছিলেন তিনি।
নস্ট্রাডামাস জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালে বিশ্বের অনেক দেশে পানি সংকট আরও তীব্র হবে। এ সময় অন্য গ্রহের প্রাণীরাও পৃথিবীতে হানা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারতের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। পঙ্গপালের হামলায় দেশটিতে খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯১১ সালে জন্ম নেওয়া নস্ট্রাডামাস মাত্র ১২ বছর বয়সে দৃষ্টি শক্তি হারান। এই নারী এরপর থেকেই ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন বলে দাবি করতেন। ১৯৯৬ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নানা বিষয়ে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তার এসব ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা ও ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে প্রচুর মানুষ মারা যাওয়ার মতো বিষয়গুলো মিলে গেছে।
২০২০ থেকে ২০২১ সাল এ ২ বছরের দিকে তাকালেই বোঝা যায় নস্ট্রাডামাসের ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হওয়ার সুযোগ তেমন একটা নেই। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ইতোমধ্যেই আরও প্রকোপ আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। ওমিক্রনের কারণে বিভিন্ন দেশ নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এছাড়া বিগত বছরগুলোতে ভারত ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশে পঙ্গপালের হামলা হয়েছে। যাতে নষ্ট হয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য।
Leave a Reply