1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন

আফগানিস্তানে আফিম চাষের কী হবে?

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

আফগানিস্তানে আফিম চাষের সঙ্গে বহু লোক জড়িত রয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপাদন করে থাকে দেশটি। কিন্তু তালেবানরা ক্ষমতা নেওয়ার পর এ ধরনের মাদক চাষের কী হবে, তা নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তালেবানরা দাবি করে থাকে তারা যখন নব্বইয়ের দশকে প্রথমবার ক্ষমতা নিয়েছিল সেই সময় আফিম চাষ বন্ধ করা হয়েছিল। তালেবানরা ২০০১ সালে উৎখাতের পরের বছরগুলোয় আফিম চাষ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল বলে তথ্য মিলেছে। প্রসঙ্গত, পপি গাছের ফল থেকে পাওয়া নির্যাস আফিম থেকে বেশকিছু মাদক তৈরি হয়, যার মধ্যে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হলো হেরোইন। বিশ্বে আফগানিস্তানেই সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হয়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৮০ ভাগই আফগানিস্তানে হয়ে থাকে। দেশটির অর্থনীতির ১১ শতাংশ আসে এই আফিম থেকেই। কিন্তু তালেবানের আদর্শের সঙ্গে এই মাদকটি যায় না।

দুই দশক পর কাবুল দখলের পর তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, তারা মাদক চাষ শূন্যে নামিয়ে আনতে চান। তিনি আরও দাবি করেন, আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম সেই সময় আফিম চাষ ছিল না। আমরা আবারও তা বন্ধ করব। কিন্তু মাঠের চিত্র বলছে অন্য কথা।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, নব্বইয়ের দশকে তালেবানের শাসনের শুরুতে আফিম চাষ বেড়েছিল। ১৯৯৮ সালে যেখানে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে পপি চাষ হচ্ছিল, ২০০০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪ হাজার হেক্টর। আর এই আফিমের বেশির ভাগই ছিল তালেবান নিয়ন্ত্রিত হেলমান্দ প্রদেশে। বিশ্বের মোট আফিমের ৩৯ শতাংশ জোগান আসে সেখান থেকেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com