1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন

জলে গেল যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছর?

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১

দুই দশক ধরে আফগান সেনাবাহিনী গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের চেষ্টা যে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তালেবানের আফগানিস্তান দখল সে কথাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগান সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ সেই সেনাবাহিনীকে গুঁড়িয়ে দিতে তেমন সময় লাগেনি তালেবানের। বলা চলে, প্রায় এক মাসের মধ্যে আফগান সেনাবাহিনী গুঁড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের কথা যদি বলা হয়, এ সময়ে তালেবান আফগানিস্তানের সব ক’টি গুরুত্বপূর্ণ শহরই দখল করে নেয়। আর তারা রবিবার দখল করে কাবুল। দখল করে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস। তালেবান কাবুলে প্রবেশের পরই দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এর মধ্য দিয়ে তালেবানের হাতে গনি সরকারের পতন হয়।

আগের দিন শনিবার গনি টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি তার ভাষণে আফগান নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দেশ ও জনগণকে রক্ষার জন্য আফগান বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে দৃঢ় মনোভাব রয়েছে। কিন্তু তালেবানের দখল অভিযানের সামনে আফগান বাহিনী যেভাবে গুঁড়িয়ে গেল, তা অনেককেই বিস্মিত ও হতবাক করেছে। তালেবানের দখল অভিযানকালে অনেক আফগান সেনা পালিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে নির্ধারিত যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করেছেন। অনেকে তালেবানের সঙ্গে সমঝোতায় গেছেন। অনেকে আবার তাদের অস্ত্রশস্ত্র তালেবানের কাছে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।

মার্কিন গোয়েন্দাদের এক মূল্যায়নে বলা হয়েছিল, তালেবান ৩০ দিনের মধ্যে কাবুলকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। আর ৯০ দিনের মধ্যে তাদের হাতে কাবুলের পতন ঘটতে পারে। কিন্তু তাদের এই হিসাবে মস্ত গলদ ছিল। রবিবার তালেবানের কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। কিছু মার্কিন কর্মকর্তার ভাষ্য, প্রাদেশিক গভর্নররা বিশ্বাস করতেন, পরাজয় নিশ্চিত। তাই তারা অধিক রক্তপাত এড়াতে সেনাদের আত্মসমর্পণ বা পালিয়ে যেতে বলে থাকতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, একবার যখন মনোবল ভেঙে যায়, তখন তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আফগান সেনাবাহিনীর দ্রুত ভেঙে পড়ার জন্য এই বিষয়কে আংশিকভাবে দায়ী করা যায়।

আফগান সেনাবাহিনী নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি কি আপনার নেতাদের জন্য জীবন দেবেন, যারা আপনাকে সময়মতো বেতন দেন না?’

গজনি প্রদেশে তালেবানের এক কমান্ডার বলেন, যখনই মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার শুরু হয়, তখনই আফগান সরকারি বাহিনীর ভেঙে পড়া শুরু হয়। এই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কোনো আদর্শ ছিল না। তালেবানের ওই কমান্ডার আরও বলেন, প্রদেশগুলোর এই অপ্রত্যাশিত পতনের মূল কারণ- তাদের (তালেবান) ও মার্কিন সেনা প্রত্যাহার। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের সময় প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছিলেন রিচার্ড আর্মিটেজ। তিনি আফগানিস্তানসংক্রান্ত কূটনীতিক কার্যক্রমে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com