ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মমেকহা) করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন করোনায় এবং ১৩ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে গতকাল শুক্রবার হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গিয়েছিল ১৬ জন।
আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে করোনায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ময়মনসিংহের আটজন এবং নেত্রকোনা ও শেরপুরের একজন করে রয়েছেন।
করোনায় মৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের মর্জিনা (৬৫), খাদিজা বেগম (৭০), সুফিয়া (৪৫), আকুয়ার খোদেজা (৫৫), মুক্তাগাছার আব্দুল মালেক (৫৫) ও রিয়াজুল (৪৫), তারাকান্দার কোহিনূর বেগম (৬৫), হালুয়াঘাটের আব্দুল মতিন (৭০), নেত্রকোনা সদরের খলিন্দ্র চন্দ্র (৮০), শেরপুর নালিতাবাড়ির আবুল সালেহ (৭০)।
এ ছাড়া ওই সময়ের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ময়মনসিংহের সাতজন, নেত্রকোণার তিনজন এবং জামালপুর, শেরপুর ও টাঙ্গাইলের একজন করে রয়েছেন।
তারা হলেন-ময়মনসিংহ সদরের ফারুক (৩৬), আসিরন (৬০), গোলাম কিবরিয়া (৬০), রাবেয়া (৭০), রোজি আক্তার (৫০), আব্দুল রাজ্জাক (৭০), ঈশ্বরগঞ্জের সাকিনা বেগম (৫৫), নেত্রকোনা সদরের আহমেদ (৫৬), হাজেরা খাতুন (৬৫), মঞ্জুরুল হক (৬৫), টাঙ্গাইল সদরের আব্দুল গফুর (৮৫), জামালপুর সদরের মো. বিল্লাল উদ্দিন (৬০) ও শেরপুর সদরের মোজাম্মেল (৬৫)।
ডা. মহিউদ্দিন খান মুন জানান, করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৩৯৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ রোগী। নতুন শনাক্ত ২২৮ জন ও ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন। ওয়ান স্টপ ফ্লু কর্নারে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট সেবা নিয়েছেন ৮৭ জন ও ১৫ জন টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ৬০০ নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং এর আগের দিন ১৩ আগস্ট ছিল ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশ (সিবিএমসিবি) করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. খায়রুল ইসলাম সিজার জানান, ১২ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত সিবিএমসিবি করোনা ইউনিটে ভর্তি রোগী করোনায় ১৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৯ জনসহ মোট ২৭ জন। তার মধ্যে নতুন ভর্তি তিনজন। আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চারজন।
Leave a Reply