কিশোরগঞ্জের নিকলীতে জেসমিন আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে জেসমিন আক্তারের স্বামীর বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন হত্যাকারী জেসমিনের স্বামী শেখ জুয়েল (৩৪), তার বড়ভাবি নুরুনাহার (৩৪) ও ছোট ভাবি খাদিজাকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় শাশুড়ি রোকেয়া বেগম (৫৫), তার দুই ছেলে শেখ খলিল (৩৮) ও শেখ সোহেল (৩৬) পলাতক রয়েছেন।
কামালপুর গ্রামের শেখ জুয়েল মিয়ার সঙ্গে উপজেলার দামপাড়ার সাহেবহাটি গ্রামের জেসমিন আক্তারের প্রায় ২ বছর আগে বিয়ে হয়। জুয়েল মিয়ার প্রথম স্ত্রী তিন সন্তান রেখে মারা গেলে জেসমিন আক্তারকে বিয়ে করেন। এর আগেও জেসমিন আক্তারের অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল।
জুয়েল মিয়ার প্রথম পক্ষের সন্তানদের দেখভালের বিষয় নিয়ে জেসমিন ও জুয়েলের সঙ্গে পারিবারিক কলোহল হতো প্রায় সময়। কিছুদিন আগেও জেসমিনের গর্ভজাত সন্তানকে নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে পারিবারিক কলোহের জের ধরেই জেসমিনকে স্বামী জুয়েল ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলা কেটে হত্যা করেছে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন মৃত জেসমিনের মা রুমা আক্তার (৪৮)। তিনি বাদী হয়ে নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাসুল আলম সিদ্দিকী জানান, পারিবারিক কলোহের জেসমিনের গলা কেটে হত্যা করেন জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান আসামি জুয়েল মিয়ার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply