দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল করে হাঁপিয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াাঘাট উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ। খানা-খন্দে ভরা রাস্তায় চলাচলের কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের লক্ষণ দেখেই খুশি উপজেলা দুটির বাসিন্দারা। তারা রাস্তার কাজের দ্রুত বাস্তবায়ন চান।
ধোবাউড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী তারমিম বলেন, ‘রাস্তার গর্তের কারণে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। এই রাস্তা ঠিক হবে ভেবেই খুশি লাগছে। যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে ততই ভালো।’
প্রাথমিক পর্যায়ে ধোবাউড়া থেকে হালুয়াঘাট পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তার পিচ ভাঙ্গা ও হেরিং বন্ডের ইট তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম জানান, ‘২০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ ৪৪ কোটি টাকা। রাস্তার কাজের টেন্ডার পেয়েছে মাসুদ হাইটেক নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে রাস্তার কাজের প্রস্তুতি চলছে। পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হতে কিছুদিন সময় লাগবে। আর বৃষ্টি সমস্যা না করলে ৫-৬ মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ হবে।’
ধোবাউড়া উপজেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন সোহাগ নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম ধোবাউড়াবাসীর উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে অত্র এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন হলে এলাকাবাসীর যাতায়াতের কষ্ট কমবে, অর্থ ও সময় উভয়েরই সাশ্রয় হবে।’
ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মাননীয় এমপি জুয়েল আরেংয়ের নেতৃত্বে ধোবাউড়া উপজেলার উন্নয়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ধোবাউড়া থেকে হালুয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’
Leave a Reply