টাকা উত্তোলনের ফাইলে সই করতে না চাওয়ায় উপজেলার উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিসে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানের নাম আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর মাঘান-সিয়াধার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, ঠিকমতো কাজ না করেই গত রোববার হতদরিদ্রদের কাজের (ইজিপিপি) টাকা উত্তোলনের ফাইলে স্বাক্ষর নিতে মোহনগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর অফিসে যান চেয়ারম্যান আবু বক্কর। কিন্তু ফাইলে স্বাক্ষর করতে অসম্মতি জানালে অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন ওই চেয়ারম্যান।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, রোববার চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক মোহাম্মদ আলীর অফিসে ঢুকে ইজিপিপি’র কাজের ফাইলে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু ওইসব কাজ ঠিকমতো করা হয়নি। কোনো কোনো রাস্তা শ্রমিক না নিয়ে এসকেভটর দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে। ফলে এসব ফাইলে স্বাক্ষর দিতে অসম্মতি জানান মোহাম্মদ আলী। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসে থাকা চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। তাতেও রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন চেয়ারম্যান।
তবে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহীদ ইকবাল বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের কাজের নিন্দা জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তা দুজনকে নিয়েই বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply