বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট নিজের রূপ-গুণ ও অভিনয়ে কেড়ে নিয়েছেন লাখো দর্শকের মন। ছবিতে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র করে তাক লাগিয়ে দেন আলিয়া। নির্দিষ্ট কোনো ধারার চরিত্রে আটকে থাকেন না। চরিত্র নিয়ে নানান এক্সপেরিমেন্ট করতে থাকেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি আলিয়া ভাট নিজের ‘নো মেকআপ’ লুকের জন্যেও বলিউডে বেশ জনপ্রিয়।
একটা সময় এই সুদর্শনীর শরীরে মেদ জমেছিল। গত ছয় মাসে ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন। স্টুডেন্ট অব দি ইয়ার ছবি দিয়ে তাক লাগানো এ নায়িকা এত কম সময়ের মধ্যে ২০ কেজি ওজন কমিয়ে সবাইকে চমকে দেন।
স্টাইল ক্রেজ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আলিয়াকে তিন মাসের মধ্যেই ১৬ কেজি ওজন কমাতে হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে আরও চার কেজি ওজন কমান বাকি তিন মাসে। কষ্ট হলেও অসম্ভব নয় ওজন কমানো।
আলিয়া সপ্তাহে ৩-৪ দিন জিমে গিয়ে ৩০-৪০ মিনিট একটানা শরীরচর্চা করেন। কার্ডিও, ইয়োগার পাশাপাশি পুল আপস, পুশ আপস, ডাম্বল ক্রাঞ্চস, ব্যাক এক্সটেনশনস, লুঞ্জস, স্কোয়াটসহ পেইলেটস অনুশীলন করেন। সুযোগ পেলেই জিমে সময় কাটান এ নায়িকা। যোগ-ব্যায়াম করেন আলিয়া। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইয়োগা করলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে; তেমনই মনেও আসে শান্তি।’ পাশাপাশি নাচতেও পছন্দ করেন আলিয়া। ওজন কমাতে নিয়মিত ড্যান্সও করে থাকেন তিনি।
আলিয়ার খাবারের তালিকা
সকালের নাস্তা: চিনি ছাড়া এক কাপ হারবাল চা বা ব্ল্যাক কফি, ডিমের সাদা অংশের স্যান্ডউইচ বা ভেজিটেবল পোহা (চিড়া ও শাকসবজি দিয়ে তৈরি পদ) এক বাটি।
মিড-মর্নিং : একটি বাটি পাকা পেঁপে বা যেকোনো ফল।
দুপুরের খাবার : একটি রুটি, শাকসবজি, ১ কাপ ডাল, টকদই বা চিকেনের সঙ্গে ভেজিটেবল কুইনো।
সন্ধ্যার নাস্তা: চিনি ছাড়া এক কাপ চা বা কফি, ইডলি।
রাতের খাবার : একটি রুটি, শাকসবজি, ১ কাপ ডাল এবং মাঝে মাঝে গ্রিলড মুরগি।
আলিয়া জানান, তিনি দিনে পাঁচবার অল্প করে খাবার খান। ফলে অতিরিক্ত ক্ষুধা যেমন এড়ানো যায়; তেমনই হজমও ভালো হয়। ডিটক্স খাবার হিসেবে আলিয়া সবসময় টকদই, স্প্রাউট এবং লেবুপানি পান করেন।
ডায়েট প্রসঙ্গে আলিয়া জানান, মুরগি এবং শাকসবজি আমার নিত্যদিনের খাবারের রুটিন। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করি। মিষ্টি খাবার, তৈলাক্ত এবং জাঙ্ক ফুড একেবারেই পরিহার করি। এসবই আমার ওজন কমানোর মূলমন্ত্র।
Leave a Reply