চীনে করোনার সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়িতেই বাসিন্দাদের বন্দি থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। এবার আরো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নোট বাতিল করার পথে হাঁটল চীন। পুরনো নোট বাতিল করে ছাপানো হয়েছে ৪০০ কোটি ইউয়ান। নতুন নোট বাজারে ছাড়ার আগে তা জীবাণুমুক্ত করা হবে। আপাতত পুরনো নোট সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে রাখবে চীনের সেন্ট্রাল ব্যাংক। বদলে মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন নোটের বান্ডিল। সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ফ্যান ইয়েফেই। উল্লেখ্য, চীনে এই রোগে মৃতের সংখ্যা ১৭৭০ ছাড়িয়ে গেছে।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর। কালোবাজারি রুখতে, সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে সুফলের কথা ভেবে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার পুরনো ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করেছিল। তাতে কাজের কাজ কতটা হয়েছে, তা এখনো বিতর্ক রয়েছে। এবার সেই পথে হেঁটে করোনা রুখতে চীনও নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করল।
স্রেফ সংস্পর্শেই ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনা ভাইরাস বা Covid-19. একজনের হাত থেকে নোটবদল হচ্ছে অপর জনের হাতে। তা থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই পুরনো নোট বিশেষত হাসপাতাল এবং বাজারে ব্যবহৃত নোটগুলো সংগ্রহ করে ব্যাংকের কোষাগারে তুলে রাখা হয়েছে। অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে নতুন নোট এবং কয়েনগুলোকে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে তবেই বাজারে ছাড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেন্ট্রাল ব্যাংক। রাতারাতি ৪০০ কোটি ইউয়ান মূল্যের নোট ছাপিয়ে আমজনতার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বড় অঙ্কের নোটই বেশি বাতিল করা হয়েছে।
তবে সেন্ট্রাল ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ফ্যান জানিয়েছেন, অত্যন্ত দ্রুততা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে নোটবাতিল ও নতুন নোট বাজারে আনার পদ্ধতিটি কার্যকর করা হয়েছে। বিশেষত হুবেই প্রদেশ, যেখান থেকে মূলত করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে, সেখানের পুরনো নোট সংগ্রহ করে গুদামে রাখা হয়েছে। এভাবে নোটবাতিলের জন্য সাধারণ মানুষের অর্থাভাব হবে না বলেই নিশ্চিত করেছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ফ্যান ইয়েফেই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply