ভোলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনো চরম দুর্ভোগে রয়েছে। জোয়ারের পানি কমতে শুরু করলেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে লন্ডভন্ড অবস্থায় রয়েছে ভোলার দুর্গম বঙ্গোপসাগর মোহনার চরফ্যাসন উপজেলার জনপদ কুকরি-মুকরি, চরপাতিলা ও ঢালচরসহ বহু এলাকা। শুক্রবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে।
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হাসেম জানান, তার ইউনিয়নে বিধ্বস্ত এসব জনপদে জেয়ারের পানিতে দেখা দিয়েছে লবণাক্ততা। এতে করে একদিকে যেমন বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। তেমনি কুকরি-মুকরিতে লবণাক্ত পানির কারণে পুকুরের মাছ ও গবাদিপশু মারা যাচ্ছে। চর পাতিলা গ্রামে শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাছ থেকে শুধুমাত্র শুকনো মুড়ি শুকনো খাবার তারা পেয়ে বিতরণ করেছেন।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল আকতার জানান, বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার মেঘনা নদীর পানি দেড় ফুট উচ্চতা কমেছে। কিন্তু মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে নিহত একজনের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। ঘরবাড়ি হারানো বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের জন্য ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply