করোনার এই ক্রান্তিকালেও মহাকাশপ্রেমীদের জন্য গতকাল বুধবার ছিল একটি বিশেষ দিন। কারণ বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা ঘটে গেছে এদিন। হ্যাঁ, বিরলই বটে। গতকাল সন্ধ্যায় দেশের আকাশে দেখা গেছে সুপার ব্লাড মুন। রাজধানীবাসীও বিরল এ ঘটনার সাক্ষী হতে পারতেন, যদি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আকাশ মেঘলা না থাকত। এক্ষেত্রে পাবনাবাসী খুবই ভাগ্যবান। কারণ পাবনার রেলস্টেশন এলাকা থেকে ঠিকই ব্লাড মুন বা রক্তিম চাঁদের দেখা মিলেছে। এর আগে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণও হয়। কিন্তু আকাশে মেঘ থাকায় খালি চোখে তা দেখা যায়নি।
চন্দ্রগ্রহণের পর চাঁদ লালচে রঙ ধারণ করে, যা খুব অল্প সময়ের জন্য পাবনার আকাশে উঁকি দেয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকালের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় ঢাকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে, শেষ হয় ৭টা ৫১ মিনিটে। এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ এবং সুপার ব্লাড মুন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও পূর্ব এশিয়া থেকে পরিষ্কার দেখা গেছে।
চন্দ্রগ্রহণটির গতিপথ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালফি দ্বীপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৯ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় আরও ৯ মিনিট পর। এর পর পূর্ণ গ্রহণ থেকে চাঁদ বেরিয়ে আসে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টা ৫১ মিনিটের দিকে। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যায়।
এ সময় পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসায় চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়েও বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, ২০২১ সালের অন্যান্য চন্দ্রগ্রহণের তুলনায় গতকালের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটিতে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসেছিল চাঁদ। এ সময় চাঁদের উজ্জ্বলতা ও আকার কেবল বাড়েই না, পাশাপাশি চাঁদের রঙ পরিবর্তন হয়ে লালচে দেখায়।
জানা গেছে, করোনার কারণে এবারের এ চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য কোনো শিবিরের আয়োজন করেনি বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি।
Leave a Reply