একটা সময় ছিল টিভি নাটক মানেই তার ঝলকানি। নানা বৈচিত্র্যময় চরিত্রে নিজেকে হাজির করার মুন্সিয়ানা রয়েছে তার। অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়ে নিজেকে নিয়ে যান জনপ্রিয়তার শীর্ষে। গত কয়েক বছর সেই ঝলকানি কিছুটা কম দেখা যায়। কিন্তু এবারের ঈদে আবারও দেখা গেছে তার অভিনয়ের জাদু। যার কথা বলছি তিনি হলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।
করোনার আঘাত হানার পর থেকেই নাটকে কাজ অনেকটাই কমিয়ে দেন তিশা। কিন্তু জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। তার প্রমাণ দিলেন এবারের ঈদে। নাটক মানেই তার অসাধারণ অভিনয়। দাপটের সঙ্গে এমনকি সবাইকে ছাড়িয়ে নিজের ভা-ার উজাড় করে অভিনয় করতে ভালোবাসেন তিনি। যারা নিয়মিত নাটক দেখেন তাদের অনেকেই অনেকদিন ধরেই মিস করতেছিলেন তিশাকে। তার অভাব পূরণ করার মতো কেউ এখনো আসেনি নাটকে।
গত ঈদে তিশার উপস্থিতি সেই কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে। বিশেষ করে অনেকদিন পর তিশা-অপূর্ব জুটির প্রত্যাবর্তন টিভি নাটকে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। ‘রক-রবীন্দ্র’ নাটকে অপূর্ব-তিশার খুনসুটি দারুণ বিনোদন দিয়েছে নাটকপ্রেমীদের। এ নাটকটি যারা দেখেছেন তাদের কাছে সেই পুরনো তিশাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বলেই মনে হয়। আবার ‘টাকাই টাকা’ নাটকে তিশাকে দেখা গেছে সেই পুরনো ছন্দে। মিশু সাব্বিরের সঙ্গে তিশার রসায়ন খুব ভালো লেগেছে। গাড়িতে চলতে গিয়ে এক দম্পতি টাকাভর্তি বস্তা পায়। সেই টাকার বস্তা নিয়ে বিপদে পড়েন তিশা-সাব্বির দম্পতি। ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। এমন গল্পে তিশার এক্সপ্রেশন ছিল দেখার মতো।
অন্যদিকে ‘রাত গভীর হয়’ নাটকে মোশাররফ করিমের সঙ্গে মন ভোলানো অভিনয় করেছেন তিশা। দীর্ঘদিন পর এ জুটি নাটকের দর্শকদের দিয়েছেন বিমোহিত আনন্দ। তিশা-মোশাররফের প্রেম থাকার পরও তাদের বিয়ে হয় না। তিশার অন্য জায়গায় বিয়ে হওয়ার পর মোশাররফ বিয়ে না করেই বাকি জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তিশা স্বামীর অত্যাচারে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি এসে থাকা শুরু করেন। আর গ্রামে রাজনীতি করা বেকার মোশাররফ একটা সময় চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ী হন। দুজনেই দারুণ অভিনয় করেছেন। এ ধরনের চরিত্রে তিশার জুড়ি মেলা ভার। তারই প্রমাণ দিয়েছেন এ নাটকে। আর ‘ইদুর-বিড়াল’ ও ‘রূপার যাদু’ নাটকে অসাধারণ অভিনয় করেছেন তিশা। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে তিশার নতুন জাদু ছড়িয়েছে অন্যরকম ভালোবাসা।
Leave a Reply