পূর্ব চীনের জেজিয়াং প্রদেশের পিংপিং নিজেকে নারী ভাবলেও আসলে তিনি পুরুষ, ২৫ বছর পর এ সত্য জানতে পারলেন তিনি।
ততদিনে অবশ্য তার বিয়েও হয়ে গেছে, ‘নারী’ হিসেবে শুরু করেছেন বৈবাহিক জীবনও। অসুস্থ হওয়ায় একটি শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল তার। সেই পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, তার শরীরে রয়েছে পুরুষের জিন। খবর গ্লোবাল টাইমসের।
অর্থাৎ তিনি জন্মেছেন একজন পুরুষ হিসেবেই। যদিও চিকিৎসকরা তার শরীরে কোনো পুরুষালি প্রত্যঙ্গের খোঁজ পাননি।
গত বছরই বিয়ে হয়েছে তার। চিকিৎসকদের পিংপিং জানিয়েছিলেন, চেষ্টা করেও অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেননি তিনি। এমনকি কোনো দিন ঋতুস্রাবও হয়নি তার।
চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানতে পারেন, নারী শরীরের প্রজনন প্রত্যঙ্গগুলোই নেই পিংপিংয়ের। নেই জরায়ু, ডিম্বাশয়ও। এমনকি পিংপিংয়ের যৌনাঙ্গটিও অসম্পূর্ণ বলে জানান চিকিৎসকরা।
আপাতত পিংপিংয়ের এই শারীরিক অবস্থাকে রোগ বলেই চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা। তবে ভয় না পেয়ে ভবিষ্যৎ জীবনে এগিয়ে যেতে বলা হয়েছে তাকে।
২৫ বছর ধরে নিজেকে নারী ভাবা পিংপিং যে জিনগতভাবে আসলে পুরুষ, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। নতুন জীবনে প্রবেশের আগে পিংপিংকে মানসিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
Leave a Reply