ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রাণহানিও বাড়ছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া আন্তঃসীমান্ত হামলায় অন্তত ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ শিশু রয়েছে।
মঙ্গলবার হামাসের এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারের বাসভবন ও দুটি সীমান্ত সুড়ঙ্গে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। রমজান মাসের মধ্য এপ্রিল থেকে জেরুজালেম নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। সমালোচকরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে বিক্ষোভ হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে জেরুজালেমে মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করার কারণে। সপ্তাহজুড়ে পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়েছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে মসজিদটি দখল করে ইসরায়েল। টানা চতুর্থ দিনের মতো ইসরায়েলি পুলিশ টিয়ারশেল, স্টান গ্রেনেড ও রবার বুলেট ছোড়ে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে।
সোমবার সন্ধ্যায় গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে হামাস। আল আকসা মসজিদ থেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনী প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর রকেট হামলা শুরু করে তারা। এখান থেকেই আন্তঃসীমান্ত হামলার উত্তেজনা শুরু। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি- নিহতদের মধ্যে ১৫ জন জঙ্গি। একই সময়ে গাজা থেকে দুই শতাধিক রকেট ছোড়া হয়েছে ইসরায়েল লক্ষ্য করে। এতে তাদের ছয় বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
সোমবার ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ঘণ্টার সংঘর্ষের পর এই হামলা হলো। মূলত জেরুজালেমে সংঘর্ষ হলেও তা ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম তীরে। এসব সংঘর্ষে সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৫০০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অতীতের মতো এবারও জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিস্ট- এ তিন ধর্মাবলম্বীর কাছেই এটি পবিত্র শহর। এর আগে হামাস ও ইসরায়েলের আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষের অবসান হয়েছে কাতার, মিসর বা অন্যদের মধ্যস্থতায়। এবারও সেরকম হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুশিয়ারি জানিয়ে বলেছেন, হামলা কিছু সময়ের জন্য অব্যাহত থাকতে পারে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেটির মধ্যে মঙ্গলবারের হামলা ছিল প্রাথমিক পর্যায়ের।
Leave a Reply