এবার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীন সরকারের আচরণকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে সংসদে বিল পাস করেছে যুক্তরাজ্য। এই ঘটনাকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন পার্লামেন্টের সদস্য টরি স্যার আইইন ডানকান স্মিথ। তবে চীন বলেছে, যুক্তরাজ্যের উচিত হবে নিজেদের ভুল সংশোধন করা। বিবিসি।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দিশিবিরগুলোতে উইঘুরসহ অন্তত ১০ লাখ মুসলিমকে আটকে রেখেছে চীন। এসব গণআটক কেন্দ্রে বন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। তবে চীন এগুলোকে ‘সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।
নেদারল্যান্ডস, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র আগেই চীনকে গণহত্যায় অভিযুক্ত করে পার্লামেন্টে বিল পাস করেছিল। এবার বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের ক্ষুদ্র এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চলছে মর্মে বিল পাস করা হলো।
চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে; কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে- সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে বেইজিং। চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
Leave a Reply