বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী সাবিলা নূর। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন ‘গ্লো অ্যান্ড লাভলী’র শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। এ ছাড়া কদিন আগেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকের শুটিং শেষে মুম্বাই থেকে ঢাকা ফিরেছেন তিনি। এসব নিয়েই কথা হলো তার সঙ্গে…
‘গ্লো অ্যান্ড লাভলী’র সঙ্গে যুক্ত হলেন। কেমন লাগছে?
আমরা সবাই জানি, এটি দেশের আইকনিক এবং এক নম্বর স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড, যা নারীদের নিজের পরিচয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে। সাম্প্রতিক সময়ে ‘গ্লো অ্যান্ড লাভলী’র বিজ্ঞাপনগুলো দেখে আমি বেশ অনুপ্রাণিত, কারণ ব্র্যান্ডটি নারীদের সাহস ও আত্মবিশ্বাসকে সেলিব্রেট করে। এখন আমি নিজেই এ ব্র্যান্ডের মাধ্যমে দেশের আত্মবিশ্বাসী নারীদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাব, এটি ভেবেই আনন্দ লাগছে। এক কথায় বলতে গেলে, আমি অনেক সম্মানিত বোধ করছি এবং রোমাঞ্চও কাজ করছে।
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে শুটিং করতে গিয়েছিলেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
মুম্বাই অংশের শুটিং শেষ করে কদিন আগেই ঢাকায় ফিরেছি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেপ্টেম্বরেই ঢাকায় এর শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করতে পারাটা এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন। এত কম বয়সে শ্যাম বেনেগালের মতো জনপ্রিয় পরিচালকের পরিচালনায় কাজ করছি, ভাবতেই অন্য রকম লাগে। যখন এত বড় মাপের পরিচালক বলেছেন, আমার অভিব্যক্তি ভালো, সুন্দর করে সংলাপ বলি- শুনে অন্যরকম আনন্দ কাজ করেছে।
এই ছবিতে আপনার চরিত্র সম্পর্কে কিছু বলুন।
ছবিতে আমি ১৪ থেকে ২২ বছরের শেখ রেহানার চরিত্রে অভিনয় করছি। শুটিংয়ের আগে ওনার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তিনি নিজের জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আমার সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন, যা হয়তো ছবিতে পাওয়া যাবে না। কিন্তু সেই কথাগুলোই আমাকে চরিত্রটি হয়ে উঠতে অনেক সহযোগিতা করেছে।
সিনেমায় কি নিয়মিত হবেন?
আমি আগেও বলেছি আর এখনো বলছি, সিনেমার জন্য আমি এখনো অনেক ছোট। সিনেমায় কাজ করতে হলে আরও অনেক কিছু শিখতে হবে। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের মতো একটি কাজে সুযোগ পেয়েছি, তাই এটি হাতছাড়া করিনি।
নতুন আর কী কী কাজ করলেন?
ঈদের কিছু নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ওটিটি প্ল্যাটফরম হইচইয়ের একটি কাজ করেছি। পরিচালক ছিলেন আশফাক নিপুন। আর বি প্রীতমের পরিচালনায় চরকিরও একটি কাজ করেছি।
নাচ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু, তবে এখন এই কাজে খুব অনিয়মিত। এর কারণ কী?
আমি নিজেও মাঝে মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ভাবি। অভিনয়কে এত বেশি সময় দিয়ে ফেলেছি যে, নৃত্যশিল্পী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার সময় পাইনি। অথচ এই আমিই প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় পদ্মকুঁড়ি চ্যাম্পিয়ন হই। বুলবুল ললিতকলা একাডেমির ছাত্রী ছিলাম। হঠাৎ হঠাৎ নাচের শোয়ের প্রস্তাব আসে। তখন দেখা যায়, প্র্যাকটিস করার সময় থাকে না। ফলে ‘না’ করে দিতে হয়, যার কারণে বিরতিটা চোখে পড়ছে। তবে সামনে নাচের জন্য আলাদা সময় বের করার চিন্তা করছি।
ইংরেজি নিয়ে পড়ছেন। এই নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
ভবিষ্যতে শিক্ষকতা পেশায় যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে। সে ক্ষেত্রে সাহিত্যের শিক্ষকই হতে চাই।
Leave a Reply