লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭১তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের সুপারিশ পেয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করব। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া এবং মানুষের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, মানুষকে বাঁচানোর জন্য। আপনারাও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলবেন। সবাইকে উৎসাহিত করবেন। মাস্ক পরবেন। ঘরে ফিরে গরম পানির ভাপ নেবেন। গড়গড়া করবেন।’
বিসিএস কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের সুপারিশ পেয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করব। আপনাদের ওপরই ওই দায়িত্ব পড়বে। ৪১-এ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল সৈনিক আপনারা। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে- আমরা বাঙালি, আমাদের মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়াতে হবে। এজন্য মানুষের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আপনাদের কাজ করতে হবে। জনগণ প্রজাতন্ত্রের মালিক, সেটা মাথায় রেখে তাদের সেবা দেবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০-২১ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছিলাম। করোনার কারণে অনেক কিছু করতে পারিনি। তবে সব ভূমিহীন ও গৃহহীনকে ঘর দিচ্ছি, কেউ যেন বাদ না যায় সবাই এদিকে নজর দিন। গ্রামে শহরের সেবা দেব, এটা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য মাঠ প্রশাসনের সবাই আমাকে সহযোগিতা করছেন, কাজ করছেন। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণমুখী প্রশাসন করতে নানা কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণের জন্য ফেলোশিপ বৃত্তি প্রদানসহ সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিচ্ছি। অবশ্য নতুন প্রজন্ম প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চিন্তা-ভাবনা ও শিক্ষায় অন্যান্যদের চেয়ে অগ্রগামী। স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া এবং মানুষের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।’
Leave a Reply