বরিশালে এক যুবককে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসকক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের এক পর্যায়ে যুবকের হাতে বেশ কিছু ইয়াবা তুলে দিয়ে স্বীকারোক্তি নেন মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা। এমন এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায় যুবকের হাতে হাতকড়া। এর মধ্যেই হাতে তুলে দেওয়া হয় কয়েক পিস ইয়াবা। এরপর ওই ইয়াবা গুনতে বলা হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে পানি চাইলে করা হয় নিষ্ঠুর আচরণ। সঙ্গে ছিল অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল।
পাশেই লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- আব্দুল মালেক আটক মারুফ সিকদারকে নির্যাতন করেন এবং হাতে ইয়াবা তুলে দেন। তবে ১৭ দিন হাজতবাসের পর কারাগার থেকে মুক্ত হলেও ফের হয়রানির আশঙ্কায় তেমন কিছু বলতে চাননি তিনি।
এদিকে ওই যুবককে সাক্ষীদের সামনে ইয়াবাসহ আটক করার দাবি করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার। নির্যাতন কিংবা ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোড থেকে মারুফ সিকদার নামে ওই যুবককে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। সেই রাতেই ঘটে এই নির্যাতনের ঘটনা। তবে ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে ওই রাতেই বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় ১৭ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান মারুফ সিকদার।
দিনমজুর বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে মারুফ ছোট। মাদক উদ্ধারের ওই মামলায় মারুফের পরিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সঙ্গে আপসের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
Leave a Reply