শাহিন আলমের জামাতা তানভীর জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার বাদ ফজর নিকেতন মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আজ রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি বলেন, ‘বাবা লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। মরদেহ এখন আজগর আলী হাসপাতালেই আছে। এখানেই গোসল শেষে তাকে তার নিকেতনের বাসায় নেওয়া হবে। নিকেতন চার নম্বর রোডে ভোরে জানাজা হবে।’
শাহিন আলমকে কিডনি জটিলতায় গত শুক্রবার রাতে জরুরি ভিত্তিকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি একেবারে নাগালের বাইরে যাওয়ায় পরদিন শনিবার ভোরেই লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় তাকে।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগে থেকে শাহীন আলম কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। চলছিল ডায়ালাইসিস।
জানা যায়, করোনার মধ্যে শাহিন আলমকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। সেই সময়ে অর্থনৈতিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অনেক সময় কালক্ষেপণ করতে হয়েছে তাকে। অন্যদিকে, মিডিয়া থেকে দূরে থাকায় তার খোঁজ খবরও তেমন কেউ পাননি।
১৯৮৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানের সুবাদে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাহিন আলম। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মায়ের কান্না’। এটি ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। এরপর অভিনয় করেন বেশ কিছু সিনেমা। বর্তমানে চলচ্চিত্র থেকে দূরে রয়েছেন শাহিন আলম। নিজ ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত আছেন এই অভিনেতা। তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ঘাটের মাঝি, এক পলকে, গরিবের সংসার, তেজী, চাঁদাবাজ, প্রেম প্রতিশোধ, টাইগার, রাগ-অনুরাগ, দাগী সন্তান, বাঘা-বাঘিনী, আলিফ লায়লা, স্বপ্নের নায়ক, আঞ্জুমান, অজানা শত্রু, দেশদ্রোহী, প্রেম দিওয়ানা, আমার মা, পাগলা বাবুল, শক্তির লড়াই, দলপতি, পাপী সন্তান, ঢাকাইয়া মাস্তান, বিগ বস, বাবা, বাঘের বাচ্চা, বিদ্রোহী সালাউদ্দিন ইত্যাদি।
Leave a Reply