নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি শুরু করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আংশিক শুনানি শেষে আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী শুনারি তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত তার আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার আংশিক অভিযোগ গঠনের শুনানি করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, ‘আমরা আইনজীবীর মাধ্যেম ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) হাজিরার জন্য আবেদন করেছি। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এখন থেকে আমি ও আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ ম্যাডামের পক্ষে হাজিরা দেব। তাকে এখন আর আদালতে হাজির হতে হবে না।’
আইনজীবীরা জানান, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মোঃ শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
Leave a Reply