ভারতের মধ্যপ্রদেশে মঙ্গলবার একটি যাত্রীবাহী বাস সেতু থেকে খালে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত ওই খালটি থেকে অন্তত ৪৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনই নারী।
মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রদেশের সিধি থেকে সাতনার দিকে একটি বাস যাচ্ছিল। এতে কমপক্ষে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সিধি জেলার পাটনা গ্রামের কাছে একটি সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চাকা পিছলে সোজা খালে গিয়ে পড়ে বাসটি।
স্থানীয় ডিভিশনাল কমিশনার রাজেশ জৈন জানিয়েছেন, কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে চলে আসতে সমর্থ হন। কিন্তু বাকিরা বাসের মধ্যেই আটকে ছিলেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। হাজির হয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। উদ্ধারকাজের জন্য বনসাগর বাঁধের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, যেন খালে পানির স্তর কম থাকে। তাতেও অবশ্য খুব একটা লাভ হয়নি।
নিহত ৪৭ জনের মধ্যে চার বছরের একটি শিশুও রয়েছে। এছাড়া নিহত ২০ নারীর মধ্যে ১৬ জন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার শিকার বাসটি খাল থেকে তোলা হয়েছে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রদেশের সিধিতে বাস দুর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন সক্রিয়ভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
নিহতদের পরিবার পিছু দুই লাখ রুপি আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফেও পাঁচ লাখ রুপি অনুদান দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply