ভারত সরকার শনিবার জানিয়েছে, শুক্রবার একদিনে তিন লাখেরও বেশি মানুষকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৪১টি সেশনে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮ জনকে।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ হাজার ৪০৮টি সেশনে সারা দেশে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর এবং ‘এই ভ্যাকসিনগুলো কোভিড-১৯ রোগের কফিনের শেষ পেরেক হিসাবে প্রমাণিত হবে’।
ভারতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয় গত ১৬ জানুয়ারি।
২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে প্রাথমিক ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, পুলিশ, প্রবীণ নাগরিক এবং অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত রোগীসহ দেশের ৩০০ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভারত সরকারের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ বা এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন দেয়া হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দেশটির রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের।
দেশটির সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে ৩ হাজার ৬টি ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে প্রথম দফায় সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভ্যাকসিন প্রদানে ‘কোউইন’ নামের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক যেখানে ভ্যাকসিন নেয়ার আগে নাম ও পরিচয় নথিভুক্ত করতে হবে সবাইকে। ভ্যাকসিনের মজুত, এর প্রতিক্রিয়াসহ এ সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষণ এবং নজরদারি করা হবে ওই অ্যাপের মাধ্যমেই।
এছাড়াও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদানের জন্য ২৪ ঘণ্টার একটি হেল্পলাইনও চালু করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিনের এক বিলিয়ন ডোজ তৈরি করতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
কোভ্যাক্সিন নামে অন্য ভ্যাকসিনটি ভারতেই তৈরি হয়েছে। দেশটির সরকারি চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগে এই টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।
Leave a Reply