জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙ্গর করা ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ প্রমোদতরীতে ১০ জন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবো কাতো। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জাহাজ থেকে নামিয়ে মেডিকেল সংস্থায় পাঠিয়েছি। আক্রান্তদের মধ্যে চারজনের বয়স ৫০, চার জনের বয়স ৬০ এবং বাকি দুজনের বয়স ৭০ এবং ৮০ বছর। তাদের মধ্যে তিনজন জাপানের নাগরিক। বাকিদের মধ্যে দুজন অস্ট্রেলিয়া এবং একজন হংকংয়ের।’
করোনাভাইরাস আতঙ্কে ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ জাহাজটিকে ইয়োকোহামা বন্দরে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন(পর্যবেক্ষণের জন্য অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখা) করা হয়েছে। ওই জাহাজে ৩ হাজার ৭১১ জনের মধ্যে ২ হাজার ৬৬৬ জন যাত্রী এবং ১ হাজার ৪৫ জন ক্রু রয়েছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৫ জানুয়ারি হংকং বন্দর থেকে যাত্রা করা ৮০ বছর বয়সী এক যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ওই জাহাজটিকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়।
কিয়দো নিউজ এজেন্সির দেওয়া তথ্যমতে, গত সোমবার জাহাজটি ইয়োকোহামা বন্দরে পৌঁছালে যাত্রীদের জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টা পর তাদের জাহাজ থেকে নামানো হবে। কোয়ারেন্টাইনকৃত জাহাজের যাত্রীদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য কোয়ারেন্টাইন অফিসারদের পাঠায় জাপান। ভাইরাস পরীক্ষার জন্য যাত্রীদের নিজ নিজ রুমে থাকতে বলা হয়।
এর আগে গত শনিবার জাপানের ওকিনাওয়া প্রদেশের নাহা বন্দরে থাকাকালীন জাহাজটি আরেকবার কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছিল। হংকং থেকে ওঠা ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রন্ত বলে প্রমাণিত হওয়ায় দ্বিতীয় ধাপে জাহাজটিকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়।
এই ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৯০ জন। এ ছাড়া ফিলিপাইন ও হংকংয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩২৪ জন।
Leave a Reply