কাশি হলে বেশিরভাগ সময় আমরা অবহেলা করি। অবহেলার কারণে অনেক সময় তা ক্রনিক হয়ে যেতে পারে। তাই কিছু নিয়ম-কানুন আমাদের মেনে চলতে হবে। দেখবেন কাশি তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।
ঠাণ্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন : বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, আইসক্রিম বা ঠাণ্ডাজাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে কাশি হয়েছে। অবশ্য জানা যায়নি ঠাণ্ডা খাবার খেলে কীভাবে কাশি বেড়ে যায়। তাই যতদিন না সম্পূর্ণ ঠিক হচ্ছেন, ততদিন ঠা-া খাবার এড়িয়ে চলুন। অবশ্য অনেক ডাক্তার মনে করেন, ঠাণ্ডা খাবার বা পানীয় ফুসফুসের বাইরের স্তর খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক করে দেয়। ফলে ইনফেকশন বেড়ে যায়।
রাতে কম খাবার খাবেন : যারা Gastroesophageal Reflux Disease (GERD) রোগে আক্রান্ত, তারা রাতে বেশি খাবার খেয়ে ঘুমালে দেখা গেছে কাশি বেড়ে যাচ্ছে। তাই কাশি হলে রাতের খাবার আগেভাগে শেষ করুন। খাবারের পরিমাণও যেন কম হয়, সেটিও মাথায় রাখুন।
বিছানায় একদিকে ফিরে ঘুমান : রাতে সঠিকভাবে শোয়াও জরুরি। বিছানার সঙ্গে পিঠ ঠেকিয়ে সোজা হয়ে শুয়ে থাকলে কাশি বাড়তে পারে। এভাবে শোয়ায় সারাদিনের জমা হওয়া কফ ও সর্দি গলায় গিয়ে জমা হয়। ফলে কাশি বেড়ে যায়। তাই একদিকে পাশ ফিরে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন।
ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন : ভাজা খাবার থেকে অপৎড়ষবরহ নামক এক ধরনের পদার্থ বের হয়। এ পদার্থ কাশি ও গলা খুশখুশ বাড়িয়ে দেয়। তাই কাশি হলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন : ধূমপান ব্রঙ্কাইটিস কাশি হওয়ার একটি কারণ ধরা হয়। এ সময় সিগারেট টানলে গলা খুশখুশ বেড়ে যায় এবং কাশি ঠিক হতেও সময় লাগে বেশি। এ ছাড়া ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেকটা। একই সঙ্গে বাড়িতে যদি আপনার সামনে কেউ নিয়মিত সিগারেট টানে, তা হলে সেটিও সমান ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত খাটাখাটনি করবেন না : কাশি হলে কেউ ছুটি নিয়ে বাড়িতে বসে থাকেন না ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত খাটাখাটনি না করাই ভালো। কাশি হওয়া মানে আপনার শরীরে নিশ্চয়ই কিছু সমস্যা হয়েছে। তাই যতটা সম্ভব এ সময় রেস্ট নিন ও ইমিউন সিস্টেম ঠিক হওয়ার সময় দিন।
Leave a Reply