ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার ও সহযোগী অমিতাভ অধিকারীসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সাথে আছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেজাবীন রাব্বানি দিপা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো: খুরশীদ আলম খান। এ ছাড়াও ছিলেন আইনজীবী মো: মোশাররফ হোসেন।
অর্থপাচার রোধে বা পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত বলেন, ‘বিদেশে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কী করছে। এত কিছু হচ্ছে তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) কিছু করছে না কেন? তারা শুধু ওখানে (অফিসে) এসে বসে থাকবেন, কিছু করবেন না তা তো হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থপাচারের দায় এড়াতে পারে না।’
এ দিকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া পিকে হালদারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে ইন্টারপোলে।
পুলিশ সদর দফতর থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার পি কে হালদারের সহকারী শংখ বেপারীকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত।
গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে ধানমণ্ডির দুটি ফ্ল্যাটসহ পি কে হালদারের স্থাবর সম্পদগুলো ক্রোকের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো: সালাউদ্দিন এ আবেদন করেন।
আদালতে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আবেদনের শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
গত ২ ডিসেম্বর পি কে হালদারকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারির আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ। পি কে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে বছরের গত বছরের শুরুতেই পি কে হালদার বিদেশ পালিয়ে যান। এরপর বিদায়ী বছরের ৮ জানুয়ারি ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে ধানমণ্ডির দুটি ফ্ল্যাটসহ পি কে হালদারের স্থাবর সম্পদগুলো ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
Leave a Reply