সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার মূল আসামি বাসচালক শহীদ মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ (সিআইডি)। আজ শনিবার ভোর ৬টায় ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এসে নামার সময় পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার শহীদ মিয়া সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে। তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, বাসচালক শহীদ মিয়াকে সিআইডি পুলিশ নানা কৌশলে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এনে আজ ভোর ৬টায় পুরাতন বাসস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে সকাল ৯টা পর্যন্ত তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
এর আগে এ ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে ওই বাসের হেলপার রশিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী ওই বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। এ সময় চালক ও হেলপার কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন।
মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ বাসটি জব্দ করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়ি দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামে। সে দিরাই ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী বর্তমানে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
Leave a Reply