মিড ডে মিল রান্না হচ্ছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একটি স্কুলে। সেখানেই খেলা করছিল বছর তিনেকের এক শিশু। পাশেই ছিল রাঁধুনি। খেলতে খেলতে গরম কড়াইতে ছিটকে পড়ল শিশুটি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
পরিজনদের অভিযোগ, রাঁধুনি শিশুদের দিতে নজর না দিয়ে দিনভর মোবাইলে ব্যস্ত থাকায় এই বিপত্তি। ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে নিহত শিশুর পরিবার। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
অভিযোগ, রাঁধুনি সামনে উপস্থিত থাকলেও, তার কানে ছিল হেডফোন। তাই শিশু কী করছে, সেদিকে খেয়াল ছিল না তার। খেলতে খেলতেই অসাবধানবশত উনুনে বসানো ফুটন্ত তরকারির কড়াইতে পড়ে যায় শিশুটি। চিৎকার করতে থাকে শিশুটি। তাতেই নজর পড়ে মোবাইলে ব্যস্ত রাঁধুনি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শিশুকে গরম কড়াই থেকে উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় চিকিৎসা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মারা যায় শিশুটি।
এই খবর পাওয়ামাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়ে শিশুটির পরিবার। স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাতেই তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি একরত্তির পরিজনদের।
তিনি বলেন, “রাঁধুনি সারাক্ষণই মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই সে বুঝতেই পারেনি কখন শিশু ফুটন্ত কড়াইতে পড়ে গেল। তাই শিশুটি যখন পড়ে গেল তখন দেখতে পায়নি। মোবাইল ছেড়ে শিশুর দিকে খেয়াল রাখলে এমন ঘটত না।”
মিড ডে মিলের ফুটন্ত কড়াইতে পড়ে শিশুর মৃত্যু মানতে পারছেন না দেশটির জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
তিনি বলেন, “শিশুর পরিবারের তরফে এফআইআর করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি ওই স্কুলে ঘটনার সময় ৬ জন রাঁধুনি ছিলেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের গাফিলতিতে এই কাণ্ড ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছি।” সংবাদ প্রতিদিন।
Leave a Reply