যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য যুক্তরাজ্যের যাত্রীদেরকে ফ্লাইটের আগে তাদের নিজ নিজ করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ নিতে হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)।
যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এসব বিধি-নিষেধের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
সিডিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য থেকে আগত বিমানের যাত্রীদের তাদের ভ্রমণ তারিখের আগে তিন দিনের মধ্যে করানো কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফলের প্রয়োজন হবে এবং সেই ফলাফল বিমান সংস্থায় সরবরাহ করতে হবে।
এ সংক্রান্ত আদেশটি স্থানীয় সময় শুক্রবার স্বাক্ষরিত হবে এবং সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে বলে জানায় সিডিসি।
সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো যাত্রী পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে অবশ্যই ওই যাত্রীকে পরিবহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
তবে সংস্থাটি বলছে, গত মার্চ মাস থেকে যাতায়াত নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিমান ভ্রমণ ইতোমধ্যেই ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি আগের তুলনায় আরো সহজে ছড়িয়ে পড়ছে।
‘তবে এটি আরো মারাত্মক, প্রাণঘাতী বা ভ্যাকসিনগুলো এর বিরুদ্ধে অকার্যকর হবে, এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি,’ বলেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুওমো বলেন, লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে তিনটি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করে- ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ডেল্টা এবং ভার্জিন আটলান্টিক। এই বিমান সংস্থাগুলো কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে সিডিসির সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড এয়ারলাইনস নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করার কথা জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই যথেষ্ট চাপে রয়েছে ব্রিটেন। প্রায় ৪০টি দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ফলে প্রতিনিয়তই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে দ্বীপ দেশটি।
Leave a Reply