ভারত ফেরত দুই পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে কর্মরত দুই সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারকৃত দুই সদস্য হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ জামাল ও সিপাহী আইয়ুব আলী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহান।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ জামাল ভারত ফেরত এক পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪ হাজার টাকা আদায় করে। এ ছাড়া সিপাহী আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধেও ভারত ফেরত আরেক এক যাত্রীর কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে। পাসপোর্ট যাত্রীরা রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহানের কাছে অভিযোগ জানালে তিনি সিপাইী আইয়ুবের কাছ থেকে টাকাটি উদ্ধার করে ওই যাত্রীকে ফেরত দেন।
পরে বিষয়টি কাস্টমসের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন শারমিন জাহান। যাত্রীর অভিযোগের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে সত্যতা মেলায় অভিযুক্ত দুজনকে শাস্তিমূলক চেকপোস্ট কাস্টমস থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে যাত্রী হয়রানি আর ঘুষ বাণিজ্য বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন মহলে সাম্প্রতি বিতর্ক সৃষ্টি বেড়েছে। নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে সাধারণ যাত্রীর সামান্য কেনাকাটা থাকলেও অর্থ আদায়ে চাপ প্রয়োগ করে থাকে কাস্টমস সদস্যরা। অথচ এক শ্রেণির বহিরাগতদের মাধ্যে লাখ লাখ টাকার আমদানি যোগ্য মালামাল ঘুষ বাণিজ্য করে কাস্টমস সদস্যরা চেকপোস্ট ছেড়ে দিচ্ছেন।
গত মাসের ২৯ নভেম্বর বহিরাগতদের মাধ্যমে চেকপোস্ট কাস্টমসে ঘুষ বাণিজ্য করে বিপুল পরিমাণ মালামাল ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হোসেন এবং আমিনুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাসেল কবীরের প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের ভিডিও ভাইরাল হয়। সচেতন মহল বলছেন, অপরাধীদের শুধু প্রত্যাহারের মধ্যে সীমাবদ্ধতা রাখায় কোনভাবে বেনাপোল কাস্টমসে ঘুষ আর অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে চেকপোস্ট কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহান জানান, পাসপোর্ট যাত্রীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থ্যার কাছ থেকে অভিযুক্ত কাস্টমস সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ আসে। পরে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
Leave a Reply