সিলেটের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পাওনা টানা না পেয়ে স্কুলের দপ্তরিকে গাছে বেঁধে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা শাহনুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলা ভীমখালী ইউনিয়নের লালবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শাহনুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আজ আদালতে পাঠানো হবে।’
উল্লেখ্য, পাওনা টাকা না পেয়ে গত ৬ ডিসেম্বর (রোববার) জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের মুক্তাখাই গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি তোফায়েল আহমেদকে গাছে বেঁধে মরধর করেন শাহনুর মিয়া। মারপিটের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন বলেন, ‘নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরপরই শাহনুর মিয়াকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার নির্যাতনের শিকার মো. তোফায়েল আহমদ বাদী হয়ে শাহনুর মিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী তোফায়েল আহমদ জামিনদার হিসেবে শাহানুর মিয়ার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নিয়ে তার চাচাতো ভাই শাহজাহানকে দেন। ঋণগ্রহীতা শাহজাহান মিয়া নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেওয়ায় শাহানুর মিয়া বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একাধিকবার শালিস হলেও জামিনদার তোফায়েল আহমদ ও তার চাচাতো ভাই শাহজাহান ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি।
এরপর ঋণগ্রহীতা শাহজাহান মিয়া গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। দীর্ঘ দুই বছরেও পাওনা টাকা না পেয়ে রোববার দুপুরে মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি তোফায়েল আহমদকে বিদ্যালয়ের সামনে পেয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গাছের গোড়ায় বেঁধে মারধর করেন পাওনাদার শাহনুর মিয়া। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন তিনি। মারপিটে তোফায়েলের শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তোফায়েল আহমদকে উদ্ধার করেন।
Leave a Reply