1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো শ্রীলঙ্কা রাজধানীতে ৩৪ চোরাই মোবাইলসহ চোরচক্রের সদস্য গ্রেপ্তার হোয়াটসঅ্যাপে স্লিপ গ্রহণ করবে হাইকোর্ট বেঞ্চ সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার, গ্রেপ্তারের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবানলের মধ্যেই চলছে লুটপাট, কারফিউ জারি অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককেও হুমকির অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় আসাদের ‘বিশ্বস্ত’ কর্মকর্তার প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু ও সম্পাদক ফুয়াদ মাদুরোকে গ্রেপ্তারে আড়াই কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের যেসব ক্ষমতা রয়েছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

কে হতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট– এই নিয়ে বিশ্বব্যাপী উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। এই অবস্থায় সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও অনেক ক্ষমতাবান মনে করা খুবই স্বাভাবিক। আসলে কিন্তু তার ক্ষমতা সীমিত৷ জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বাংলার এক রিপোর্ট থেকে জেনে নেই কি কি ক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের।

মার্কিন সংবিধান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর। কোনো প্রেসিডেন্ট দুইবারের বেশি নির্বাচিত হতে পারেন না। প্রেসিডেন্ট সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কাজ করেন এবং ফেডারেল প্রশাসন নিয়োগ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস আইন প্রণয়ন করার পর সেই আইন প্রয়োগের দায়িত্বও প্রেসিডেন্টের।

সরকারের প্রধান তিন শাখা

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের তিনটি প্রধান শাখা রয়েছে : বিচারবিভাগ, আইনপ্রনয়ন বিভাগ ও প্রশাসনিক বিভাগ। প্রেসিডেন্ট কোনো অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারেন এবং ফেডারেল বিচারক মনোনীত করতে পারেন, কিন্তু তা সিনেট থেকে অনুমোদিত হতে হয়। প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য ও রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ দিতে পারেন, কিন্তু এসব নিয়োগেও সিনেটের অনুমোদন লাগে। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আইনপ্রণয়ন বিভাগ প্রশাসনিক বিভাগের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

স্টেট অব ইউনিয়নের ক্ষমতা

প্রেসিডেন্টকে কিছুদিন পরপর কংগ্রেসের কাছে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়ে অবহিত করতে হয়। প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যকে ‘স্টেট অব ইউনিয়ন’ বলা হয়।

‘না’ বলতে মানা

প্রেসিডেন্ট কোনো আইনে ভেটো দিতে পারেন, বা ‘না’ বলতে পারেন। কিন্তু যদি কংগ্রেসের দুই কক্ষ, সিনেট ও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের দুই-তৃতীয়াংশ কোনো আইন প্রণয়নের পক্ষে মত দেয় তাহলে প্রেসিডেন্টের ভেটো সত্ত্বেও আইন কার্যকর হতে পারে।

পকেট ভেটো

মাঝেমাঝে প্রেসিডেন্ট কোনো আইন প্রণয়নকে একটি কৌশলে আটকে রাখতে পারেন। এই কৌশলকে বলা হয় ‘পকেট ভোটো’। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট কোনো আইন নিজের কাছে আটকে রাখতে পারেন। এর ফলে কংগ্রেসে অনুমোদিত হলেও প্রেসিডেন্টের কাছে আটকে থাকার কারণে আইনটি কার্যকর হতে পারে না। এই আইনের মতো অনেক বিষয়ে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে স্পষ্ট করে নির্ধারিত করেনি।

নির্বাহী ক্ষমতা

প্রেসিডেন্টের আরেকটি বিখ্যাত ক্ষমতার নাম হচ্ছে ‘এক্সিকিউটিভ অর্ডার’ বা নির্বাহী ক্ষমতা। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট সরকারি কর্মকর্তাদের কোনো বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারেন। কিন্তু তার মানে এই নয় প্রেসিডেন্ট যা খুশি তাই নির্দেশ দিতে পারেন। আদালত ইচ্ছে করলে এই নির্দেশ বাতিল করতে পারেন অথবা কংগ্রেস এই নির্দেশের বিপরীতে আরেকটি আইন প্রণয়ন করতে পারে।

চুক্তির ক্ষমতা

প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন মনে করলে আরেকটি দেশের সাথে চুক্তি বাতিল করতে পারেন, কিন্তু সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগবে।

সামরিক বাহিনীর প্রধান

প্রেসিডেন্ট কমান্ডার ইন চিফ বা সামরিক বাহিনীর প্রধান, কিন্তু যেকোনো যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস। তবে এই নিয়মটি পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কারণ, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াও কিছু সময় প্রেসিডেন্ট সামরিক সংঘর্ষে সৈন্যদের অংশ নেওয়ার অনুমোদন দিতে পারেন।

অভিশংসন

প্রেসিডেন্ট যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বা কোনো অপরাধ করেন, তবে হাউজ অভ রিপ্রেজেন্টিটিভ তাকে সরানোর জন্য ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসন শুরু করতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com