বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় সত্তোরোর্ধ এক বৃদ্ধের ধর্ষণে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধের নাম মোসলেম আলী খান। তিনি উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোটপাথরঘাটা গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিন খানের ছেলে। ধর্ষণের ফলে ওই শিক্ষার্থী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে অপারেশন করে গর্ভজাত শিশু অপসারণ করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নানা হানিফ খানকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন হানিফ খান।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানান, অভিযুক্ত মোসলেম আলী খান সম্পের্কে তার মামা হয়। তাদের বাড়িতে পেয়ারা কিনতে গেলে ঘরে নিয়ে মুখ চেপে অভিযুক্ত মোসলেম তাকে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ করে সে।
ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে বেশ কয়েকদিন ধরে তার সন্দেহ হয়। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে জানা যায় মেয়ের গর্ভবতী এবং সেই সন্তানের বয়স সাড়ে ৪ মাস হয়ে গেছে। এরপর মেয়ের কাছে জানতে চাইলে সে ঘটনা খুলে বলে। পরে ধর্ষক মোসলেম খানের কাছে জানতে চাইলে সেও অপরাধের কথা স্বীকার করে।
তিনি আরো বলেন, এর কিছুদিন পরে অভিযুক্ত মোসলেমের ছেলে ছালাউদ্দিন ৩০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করতে চাপ দেয় এবং মেয়েকে বিয়ের সময় সকল খরচ বহনের আশ্বাস দেয়। তখন আমরাও মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে অপারেশন করে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলি। এ ঘটনার জন্য আমার চাচাকে হানিফ খানকে মোসলেম আলী খানের ছেলে ছালাউদ্দিন ও তার দুলাভাই ফারুক মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোসলেম আলী খানের সাথে যোগাযোগের জন্য তার বাড়িতে গেলে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান।
পাথরঘাটা থানার ওসি শাহাবুদ্দিন জানান, মারধরের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে। ধর্ষণের ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছি, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply