সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আলুর দাম কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৭ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩০ ও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা পুনঃনির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এ মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাসহ তিনপক্ষই যেন আলু বিক্রয় করে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
আজ বুধবার থেকে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাক সেলের মাধ্যমে আলু বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ভোক্তারা এতে ২৫ টাকা দরে আলু কিনতে পারবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২৫ টাকা দরে একজন সর্বোচ্চ দুই কেজি আলু কিনতে পারবেন। একইসঙ্গে পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি, মশুর ডাল নির্ধারিত সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করবে টিসিবি।
খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আলুর বাজার স্থিতিশীল রাখতে গতকাল কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ দাম নির্ধারণে সুপারিশ করা হয়। পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে এবং কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে আলুর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৭ অক্টোবর আলুর দাম কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৫ ও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এ দাম নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু এই দামের বিষয়ে আপত্তি জানান ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে তারা আলু বিক্রি বন্ধ করে দেন।
Leave a Reply