1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: ফরহাদ মজহার চলতি মাসে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়, রয়েছে বন্যার শঙ্কাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে যা জানালেন ড. ইউনূস খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, ১৪৪ ধারা জারি জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ অশ্লীলতা না থাকলে ,আইটেম গানে নাচবেন অনন্যা ২০ হাজার বাংলাদেশীর পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ভারত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত : র‌্যাবকে সরিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ চট্টগ্রাম বন্দরের তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন, নিখোঁজ ৩ প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ

নিষ্ক্রিয় ঐক্যফ্রন্ট

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

বিএনপির নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বর্তমানে অনেকটা নিষ্ক্রিয়। জোটটির শরিক দলগুলোরও এ জোটের প্রতি আর আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিবৃতি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক তৎপরতা নেই ঐক্যফ্রন্টের। করোনা ও বন্যার মতো দুর্যোগেও অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দেখা যায়নি জোটকে। দীর্ঘদিন হয়নি কোনো বৈঠকও। এ অবস্থায় জোটের কর্মকাণ্ড নিয়ে শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

জোটের প্রধান দল বিএনপির একাধিক নেতা জানান, ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময়ই দলের একটি বড় অংশ এর বিরোধিতা করে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর ঐক্যফ্রন্ট গঠন সঠিক হয়েছিল কিনা- বিএনপির অনেকেই এখন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

জানতে চাইলে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কাগজ-কলমে আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। যে আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে জোট গঠন করা হয়েছিল, সেটা ঐক্যফ্রন্ট ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু তা যে শুধু ড. কামাল হোসেনের জন্য, তা তো নয়। এর জন্য বেশিরভাগ দায়ী বিএনপি। ঐক্যফ্রন্টে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কিছু হয়নি, সব হয়েছে যৌথ নেতৃত্বে। আমাদের ঐক্য নির্বাচনের ছিল না, ছিল আন্দোলনের। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা যে সংলাপে গেলাম, সেখানে যাওয়ার কোনো যুক্তিই ছিল না। যে সংলাপে সরকার আমাদের ডাকেনি, ড. কামাল হোসেন নিজে একটা চিঠি লিখেছিলেন। পরে এক বৈঠকে বললাম, বুঝতে পারলাম না আমরা কেন উদ্যোগী হয়ে এতকিছু করতে গেলাম। বিএনপিও কিছু বলল না, ওই সংলাপে আমরা যাব কেন? ডিসেম্বরের পর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। এখানে মূল ভূমিকা তো বিএনপির হওয়া দরকার ছিল। দলটি যদি বলত নির্বাচন করব না, এর প্রতিবাদে আগামী ২৪ ঘণ্টা হরতাল। তখন একটা অন্যরকম ব্যাপার হতো। আসলে এসব লিডারশিপ নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাছাড়া করানো যাবে না। ঐক্যফ্রন্টকে দোষারোপ করে তো লাভ নেই। মূলত এখানে বিএনপি হচ্ছে পাওয়ার। তাদের অনেক জনসমর্থন রয়েছে। তার সঙ্গে যদি আরও কয়েকটি দল এক হয় আরও শক্তি বাড়ে- এটাই বড় কথা। গত নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতাল ডাকার জন্য বিএনপিকে বলেছিলেন ড. কামাল। তখন মির্জা ফখরুল সাহেব সবার সামনে স্বীকার করেছেন, তাদের সেই শক্তি নেই। ঐক্যফ্রন্টের অন্য শরিকদের তো আন্দোলনের শক্তি নেই। শক্তি তো বিএনপির। তখন কর্মসূচি দিলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। বিএনপি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, যে আশা নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। নির্বাচনের পর থেকে জোটের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে নির্বাচনের পরপরই কঠোর আন্দোলনে না গেলেও সাদামাটা কর্মসূচি দিয়ে হলেও রাজনীতির মাঠে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার পক্ষে ছিল বিএনপি। কিন্তু তাতেও ফ্রন্টের সায় ছিল না। ফলে নির্বাচনের আট দিন পর যে কর্মসূচি দিয়েছিল ঐক্যফ্রন্ট, তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এরপর যে কয়েক দফা ঐক্যফ্রন্ট কর্মসূচি দিয়েছে, তাও করতে পারেনি পুরোপুরি। তুচ্ছ কারণে মানববন্ধন, নাগরিক সংলাপের মতো নিরীহ কর্মসূচি স্থগিতে বাধ্য হয়েছে। এরপরও বিএনপির ঐক্যফ্রন্টপন্থি কয়েকজন সিনিয়র নেতা ফ্রন্টকে সামনে রেখেই অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দলের তৃণমূলের নেতারা ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচিতে কর্মী না আনার কারণে পরে জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দিতে পারেনি। এরপর মার্চ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে বিবৃতি ছাড়া কোনো তৎপরতাই দেখা যায়নি এ জোটের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com